কলকাতা: ভারতীয় ফুটবলে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল শুক্রবার। খেলা শেষ হওয়ার বহু আগেই মাঠ ছাড়ল ফুটবলাররা। প্রতিপক্ষ বেশ কয়েক মিনিট স্রেফ দাঁড়িয়ে রইল মাঠে এবং জিতল। চলতি মরশুমের আইএসএলের প্রথম প্লে-অফের ম্যাচ ঘিরে উত্তাল হল দেশ। বেঙ্গালুরু এফসি বনাম কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচে যেন নতুন ইতিহাস তৈরি হল। সবকিছুর মূল একটি ফ্রি-কিক গোল। যার নেপথ্যে ভারতের ফুটবল তারকা সুনীল ছেত্রী।
আরও পড়ুন- শেষমেষ বাদ পড়লেন রাহুল, তাঁর জায়গায় খেলছেন শুভমন! বাদ পড়লেন শামিও
শুক্রবার রাতে প্রথম প্লে-অফে খেলতে নেমেছিল বেঙ্গালুরু এবং কেরল। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হওয়ার পর তা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। ৯৭ মিনিটে বক্সের বাইরে সুনীলকে কেরলের এক ফুটবলার ফাউল করায় ফ্রি-কিক দেন রেফারি ক্রিস্টাল জন। সেই ফ্রি-কিক নিয়ে কোনও বিতর্ক না হলেও বিতর্ক হয় তা থেকে করা গোল নিয়ে। বল বসানোর পর রেফারির বাঁশির অপেক্ষা না করেই গোলমুখী শট নেন সুনীল এবং বল গোলে ঢুকে যায়। এটিকে গোল বলেই জানিয়ে দেন রেফারি। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন কেরলের ফুটবলাররা। রেফারিকে ঘিরে অভিযোগ করা হয় যে, রেফারি বাঁশি বাজানোর আগেই সুনীল শট নিয়েছেন। তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন না। তাই গোল বাতিল করতে হবে। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি।
আরও পড়ুন- জীবনের হাফসেঞ্চুরিতে বড় উপহার, শচীনকে শ্রদ্ধা জানাতে কোন বিশেষ উদ্যোগ নিল তাঁর শহর?
এরপরেই কেরলের কোচ ইভান ভুকোমানভিচের নির্দেশে মাঠ ছাড়েন কেরলের ফুটবলাররা। ডাগ আউটেও থাকেননি তারা কেউ, সোজা ড্রেসিং রুমে চলে যায়। ৯৮ মিনিট থেকে ১২০ মিনিট বেঙ্গালুরু ফুটবলাররা শুধু মাঠে দাঁড়িয়েই থাকে। খেলার নির্ধারিত সময় শেষ হলে বাঁশি বাজিয়ে রেফারি জানান যে সুনীলরাই জিতেছেন। এইভাবেই বেঙ্গালুরু এফসি পৌঁছে গেল আইএসএলের সেমিফাইনালে। কিন্তু এই গোল কি আদৌ অবৈধ?
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”দুবাইয়ে হেরে টেনিস কোর্টকে আলবিদা সানিয়ার!! Sania Mirza bids farewell to tennis” width=”560″>
নিয়ম হল, সাধারণ ফাউলের ক্ষেত্রে দ্রুত খেলা শুরু জন্য রেফারির বাঁশির অপেক্ষা না করেও ফ্রি-কিক নেওয়া যায়। তবে, রেফারি কাউকে কার্ড দেখালে তাঁর বাঁশির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু এই ম্যাচের ক্ষেত্রে ওই ফ্রি-কিকে কেউ কার্ড দেখেননি। সুনীল তাই রেফারির বাঁশির অপেক্ষা না করেই দ্রুত গোলে শট নেন। তাই খাতায়-কলমে বিষয়টি নিয়ম বহির্ভূত না হলেও এটি অনেকটা ওই ক্রিকেটের ‘ম্যানকাড’-এর মতো। বেআইনি না হলেও স্পোর্টসম্যানশিপ নিয়ে প্রশ্ন তোলে।