নয়াদিল্লি: তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হবে কি না, তা নিয়ে যখন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিতর্ক চলছে, তখন ওয়েস্টমিনস্টার থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে ভারতে ব্যস্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ দু’দিনের সফরে এ দেশে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ সফরের প্রথম দিনেই তিনি পা রেখেছেন গুজরাতে৷ জাতির জনক মহত্মা গান্ধীর জন্মভূমিতে পৌঁছে তাঁর প্রতি নিজের শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন বরিস৷ এমনকী গান্ধীজির স্মৃতি বিজরিত সবরমতি আশ্রমে পৌঁছে চরকাও কালটলেন তিনি৷ ‘ভিজিটর্স বুক’-এ লিখলেন বিশেষ বার্তা৷
আরও পড়ুন- সংক্রমণ, মৃত্যু বাড়ল দুটিই! কোভিড চতুর্থ ঢেউ কি আসন্ন
এদিন সবরমতি আশ্রমের ভিজিটর্স বুকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘এহেন মহান ব্যক্তিত্বের আশ্রমে আসাটাও বড় সৌভাগ্যের বিষয়। কীভাবে তিনি বিশ্বকে উন্নত করার জন্য সত্য ও অহিংসার নীতিগুলিকে সংগঠিত করেছিলেন সেটা বুঝতে হলে এই আশ্রমে আসতে হবে৷’
#WATCH | Prime Minister of the United Kingdom Boris Johnson visits Sabarmati Ashram, tries his hands on ‘charkha’ pic.twitter.com/6RTCpyce3k
— ANI (@ANI) April 21, 2022
বৃহস্পতিবার সকালেই ভারতে এসে পৌঁছন বরিস জনসন৷ তাঁর সফরসূচির প্রথমেই রয়েছে আহমেদাবাদ৷ এর আগে তিনি ভারতে এলেও, গুজরাতে এই প্রথম৷ এদিন তাঁকে স্বাগত জানান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রীরাও৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে বিমানবন্দরে আয়োজন করা হয়েছিল গুজরাতি নৃত্যের৷ সেই সঙ্গে গুজরাতি সঙ্গীতও পরিবেশন করা হয়। বিমানবন্দর থেকে সোজা শহরের একটি হোটেলে ওঠেন বরিস জনসন। তাঁর যাত্রা পথে প্রায় চার কিলোমিটার জুড়ে রাস্তার দুই ধারে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য মানুষ। সেখানেও রাস্তার ধারে ধারে আয়োজন করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের৷
গুজরাতে দিনভর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর৷ ভারতে আসার তাঁর অন্যতম লক্ষ্য হল- গুজরাতি শিল্পপতিদের কাছ থেকে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি আদায় করা। আজ সে রাজ্যের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি৷ এর পর গুজরাতের পঞ্চমহল জেলার হালোলের কাছে ব্রিটিশ নির্মাণ সরঞ্জাম উৎপাদনকারী সংস্থা জেসিবি-র একটি কারখানা পরিদর্শনে যাবেন বরিস৷ পরিদর্শন করবেন গান্ধীনগরে নির্মীয়মান গুজরাত বায়োটেকনোলজি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস৷ প্রসঙ্গত, এই বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে উঠেছে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায়৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>