নৃশংস! ‘ধর্ষণে বাধা দেওয়ায়’ ২ বছরের শিশু-সহ গোটা পরিবারের নলি কেটে খুন

নৃশংস! ‘ধর্ষণে বাধা দেওয়ায়’ ২ বছরের শিশু-সহ গোটা পরিবারের নলি কেটে খুন

প্রয়াগরাজ: ফের নারকীয় হত্যালীলা৷ ফের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশে৷ এবার অকুস্থল প্রয়াগরাজ৷ নৃশংসভাবে হত্যা করা হল একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় গোটা দেশ৷ ঘটনার নেপথ্য উঠে এল নৃশংস তথ্য৷ 

আরও পড়ুন- ‘স্বাধীনতা’ চাইছেন প্রশান্ত! কী এমন শর্ত সামনে রাখল কংগ্রেস

পুলিশের অনুমান, ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় শেষ করে দেওয়া হয়েছে গোটা পরিবারকে৷ রেহাই পায়নি ২ বছরের শিশুও৷ পাঁচজনকেই গলার নলি কেটে খুন করা হয়৷ এর পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ঘর বাড়ি৷ ঘরের বাইরে থেকে উদ্ধার করা হয় বাড়ির বিশেষ ভাবে সক্ষম মেয়ে ও পুত্রবধূর নগ্ন শরীর৷ ঘটাস্থলে পৌঁছেছে ফরেন্সিক দল৷ নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশ কুকুর৷ কিন্তু, এখনও এই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি৷ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী৷ 

শনিবার সকালে  থারওয়াই থানার অন্তর্গত খেভরাজপুর এলাকায় ওই বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেড়তে দেখেন গ্রামবাসীরা৷ বাড়ির সামনে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান সেখানে পড়ে রয়েছে পাঁচজনের রক্তাক্ত দেহ৷ জেলাশাসক সঞ্জয় খাত্রী ও এসএসপি প্রয়াগরাজ অজয় কুমারকে ঘটনার যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন জেলাশাসক প্রয়াগরাজ সঞ্জয় খাত্রী এবং এসএসপি প্রয়াগরাজ অজয় কুমার। 

এই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷ কুণাল ঘোষ বলেন, একই পরিবারের পাঁচ জনকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে৷ যাঁরা বাংলায় এতদিন ৩৫৫ ও ৩৫৬ ধারা নিয়ে চিৎকার করছিলেন, উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনার পর কী বলবেন? ’’ অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, গণহত্যা হল ওই ঘটনায় কেন অনুসন্ধান করতে যায় না বিজেপি৷ এই ঘটনায় প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন অখিলেশ যাদবও৷