উপরাষ্ট্রপতির লড়াইয়ে মুখোমুখে মার্গারেট-ধনকড়, কে বেশি ওজনদার? জেনে নিন তাঁদের রাজনৈতিক সফর

উপরাষ্ট্রপতির লড়াইয়ে মুখোমুখে মার্গারেট-ধনকড়, কে বেশি ওজনদার? জেনে নিন তাঁদের রাজনৈতিক সফর

f629c0aaf4d38ba0f1551588a62074af

নয়াদিল্লি: উপরাষ্ট্রপতি পদে পশ্চিমবঙ্গের  রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নাম ঘোষণা করেছে এনডিএ শিবির৷ শনিবার রাতেই দলের তরফে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়৷ এর পরেই রবিবার দিল্লিতে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের বাড়িতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন ১৭টি রাজনৈতিক দলের নেতারা৷ বৈঠক শেষে মার্গারেট আলভার নাম ঘোষণা করেন শরদ পওয়ার৷ 

আরও পড়ুন- ভয়াবহ! চার মাসের শিশুকে বহুতল থেকে ছুঁড়ে ফেলল বানর সেনা

যদিও রবিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিল না তৃণমূল কংগ্রেস৷ কারণ তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ শেষে বিকেল ৪টেয় সাংসদদের নিয়ে বাদল অধিবেশন-সহ উপরাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে আলোচনা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে ১৭টি রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তে এনডিএর প্রার্থী জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন মার্গারেট। একঝলকে দেখে নেওয়া যাক তাঁর পরিচয় ও রাজনৈতিক সফর-
 

১৯৪২ সালের ১৪ এপ্রিল কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণ করেন মার্গারেট আলভা। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় তিনি ছিলেন সক্রিয় ডিবেটার৷ বেশ কয়েকটি ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন মার্গারেট। জগদীপ ধনকড়ের মতো তিনিও সক্রিয় রাজনীতিতে আসার আগে ছিলেন একজন আইনজীবী৷

৮০র দশকে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম শক্তিশালী কংগ্রেসী নেত্রী হিসাবে পরিচিত ছিলেন মার্গারেট আলভা। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন তাঁর৷  ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পাঁচ দফার সাংসদ। কখনও সংসদীয় মন্ত্রী, কখনও যুবকল্যাণ মন্ত্রক, কখনও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন মার্গারেট৷ 

১৯৭৪ সালে প্রথমবার কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভার সদস্য় হন৷ এরপর ১৯৮০, ১৯৮৬ এবং ১৯৯২ সালেও কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে প্রথম লোকসভার সদস্য হন। কর্ণাটকের উত্তরা করনাড থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে লোকসভায় জয়ী হন তিনি৷  তারপর অবশ্য আর জিততে পারেননি৷ ২০০৪ সালে ওই কেন্দ্র থেকেই পরাজিত হন৷  এর পর রাজস্থান ও উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সামলেছেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদকের পদ।

২০০৮ সালে কর্ণাটকে টিকিট বিতরণ নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছিলেন মার্গারেট। যার ফলশ্রুতি হিসাবে কংগ্রেস তাঁকে বেশ কিছু পদ থেকে সরিয়েও দেয়। পরবর্তী ইউপিএ জমানায় আর মন্ত্রীত্ব পাননি এই দক্ষিণী নেত্রী। সেই মার্গারেটই এ বারের বিরোধী জোটের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী৷ ধারেভারে যিনি প্রতিপক্ষ জগদীপ ধনকড়ের তুলনায় অনেক বেশি ওজনদার৷ তবে ভোট সংখ্যায় পিছিয়ে রয়েছেন মার্গারেট৷ 

মার্গারেট আলভার প্রতিপক্ষ এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনকড়ের জন্ম ১৯৫১ সালের ১৮ মে রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার কিথানায়৷ চিত্তরগঢ়ের সেনা স্কুল থেকে পাশ করার পর পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স-সহ বিএসসি পাস করেন৷ ১৯৭৮ সালে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এর পর আইনজীবী হিসাবে দীর্ঘদিন রাজস্থান হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিসও করেছেন৷ রাজস্থান হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতিও ছিলেন৷ 

১৯৮৯ সাল সক্রিয় রাজনীতিতে পা দেন জগদীপ ধনকড়৷ ওই বছর রাজস্থানের ঝুনঝুনু থেকে জনতা দলের হয়ে লোকসভা ভোটে জয়ী হন৷ ১৯৯০ সালে কেন্দ্রীয় সংসদীয় প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত রাজস্থানের কিষণগড়ের বিধায়ক ছিলেন। ২০০৩ সালে বিজেপিতে যোগ দেন৷ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন শেষে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসেন তিনি৷