কলকাতা: আজ দোল পূর্ণিমা৷ আর পূর্ণিমার রাতে আকাশ আলো করে থাকে গোল থালার মতো চাঁদ৷ সেই চাঁদের ঝলক পেতে অনেকেই অপেক্ষা করে রয়েছেন। ভাবছেন তো, এমন চাঁদ তো প্রতি পূর্ণিমাতেই দেখা যায়৷ তাহলে আজকের রাতের চাঁদে বিশেষত্ব কী আছে? তাহলে বলে রাখি, দোল পূর্ণিমায় যে চাঁদ দেখা যাবে, তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। কারণ, আজ যে চাঁদ দেখা যাবে, তাকে বলা হয় ‘Worm Moon’৷ এর নামকরণের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অদ্ভূত এক কাহিনি৷ অষ্টাদশ শতাব্দীর ওই কাহিনি অনুযায়ী, শীত শেষে বসন্তের আগমন ঘটলে বিভিন্ন প্রাণী বেরিয়ে আসে৷ সেই কারণেই আমেরিকার আদি জনজাতির মানুষ মার্চ মাসের ‘ফুল মুন’-এর নাম দেয় ‘Worm Moon’৷
আরও পড়ুন- মহাকাশে ঘটবে চাঁদ-বৃহস্পতি-শুক্রের ‘মহাসম্মিলন’! ঘনিষ্ঠ হয়ে ত্রিভুজ গড়বে আকাশে
চমকপ্রদ বিষয় হল, ২০২৩ সালে ১২ টির বদলে ১৩ টি ‘ফুল মুন’ দেখা যাবে। চলতি বছর অগাস্ট মাসেই দুটি সুপারমুনের সাক্ষী থাকতে চলেছে বিশ্ববাসী। সুপারমুন সাধারণত চাঁদের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়। রাতের আকাশে চাঁদকে আরও বড় আকারে দেখা যায়। সেইসময় পৃথিবীর থেকে খানিকটা কাছেই অবস্থান করে চাঁদ। দোল পূর্ণিমার রাতে যে চাঁদের দেখা মিলবে, সেটিও ‘ফুল মুন’-এর মতোই বড় হবে। তবে ঐতিহাসিক দিক থেকে এর বিশেষ গুরুত্ব আছে।
আবহাওয়ার খবর প্রদানকারী বেসরকারি সংস্থা স্কাইমেট জানাচ্ছে, মার্চ মাসে উত্তর গোলার্ধে বসন্তের শুরু৷ সেখানে দক্ষিণ গোলার্ধে থাকে শরৎকাল৷ উত্তর গোলার্ধের ক্ষেত্রে মার্চে যে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যায়, সেটিকে বলা হয় ‘Worm Moon’৷ এর পিছনে একটা কারণ রয়েছে৷ শীত শেষে এই বসন্তে মাটি থেকে বিভিন্ন রকমের কেঁচো বেরিয়ে আসে। সেজন্যই মার্চের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘Worm Moon’ বলা হয়ে থাকে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>