পাটনা: নীতীশ কুমার এনডিএ জোট ছাড়ার ঘোষণা করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি একেবারে নিঃসঙ্গ। রাতারাতি গেরুয়া শিবির হয়ে যেতে চলেছে বিরোধী পক্ষ। এদিকে নীতীশ এ বার দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে পারেন, এমনই সম্ভাবনা। ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে বিহারের ‘পার্টি’গণিত?
আরও পড়ুন- BJP-র সঙ্গে জোট ভেঙে ইস্তফা দিলেন নীতীশ, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ছুটলেন লালুর বাড়িতে
বিহার বিধানসভায় ২৪৩ আসন যার মধ্যে এখন একটি খালি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন ১২২ জন বিধায়কের সমর্থন। এই মুহূর্তে আরজেডি-জেডি(ইউ)-কংগ্রেস-বামেদের পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝির দল হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চাও নীতীশকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই মনে করা হচ্ছে নীতীশ ১৬৩ জনের সমর্থন পেতে পারেন। সেই হিসেবে রাতারাতি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা চলে আসছে তাঁর কাছে। অন্যদিকে বিজেপির রয়েছে ৭৭ জন বিধায়ক। তাঁরা বিরোধী দল।
ইতিমধ্যে পাটনায় জেডি(ইউ)-র সাংসদ-বিধায়ক-নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন নীতীশ কুমার৷ এরই মাঝে টুইট করেছেন লালু-কন্যা৷ হঠাৎ টুইট করে লালু-কন্যা রোহিণী আর্য লেখেন, ‘রাজতিলক কা করো তৈয়ারি, আ রহে হ্যায় লণ্ঠনধারী’। ওই টুইটের সঙ্গে লণ্ঠনধারী আরজেডি সমর্থকদের একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেন লালু-কন্যা৷ যেখানে লন্ঠন হাতে তাঁদের ভোজপুরী গান— ‘লালু বিন চালু এ বিহার না হোই’ (লালুকে ছাড়া বিহার চলবে না) গাইতে শোনা যায়৷ লালুর পাশাপাশি সেখানে দেখা যায় তেজস্বীর ছবিও। অনুমান, জেডি(ইউ)-আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের সেই ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন লালু-পুত্র তেজস্বী৷