তিরুঅনন্তপুরম: লোভ মানুষকে কোথায় নিয়ে যায় তা টের পাওয়া মুশকিল। আর এই লোভে পড়েই মানুষ যে কী থেকে কী করে ফেলে সেটাও আন্দাজ করা যায় না। কেরলে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। দু’জন টাকার লোভ করতে গিয়ে খুন হলেন, আর অন্য দু’জন সেই খুন করলেন। শুধু তাই নয়, বড়লোক হওয়ার চক্করে অন্ধবিশ্বাসে জড়িয়ে মানুষের মাংসও খেলেন! সকলকে চমকে দেওয়ার মতো এই ঘটনা ঘটেছে কেরলে। পুলিশের অনুমান, দু’জনকে খুন করার পর সেই দু’জনের মাংস খেয়েছেন কেরলের এক দম্পতি। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে এক মধ্যস্ততাকারীও।
আরও পড়ুন- ‘নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু মেনে নেওয়া সম্ভব নয়’, রাষ্ট্রপুঞ্জে ‘বন্ধু’ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট ভারতের
ঘটনা হল, মহম্মদ সফি নামে এক ব্যক্তি (মধ্যস্ততাকারী) জুন মাসে রোসেলিন নামে এক মহিলা এবং সেপ্টেম্বর মাসে পদ্মা নামে এক মহিলাকে প্রথমে পর্নোগ্রাফি করার টোপ দিয়ে এবং পরে আরও বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে নিজের কাছাকাছি আনে। তারপর দুজনকেই অপহরণ করে দম্পতি ভগবল এবং লায়লা সিংহের কাছে নিয়ে যায়। সিংহ দম্পতিকেও সফি বুঝিয়েছিল যে, তাঁর যদি ধনী হতে চায়, তা হলে নরবলি দিতে হবে। টাকার লোভেই দুজনকে খুন করে ওই দম্পতি বলে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে খুনের তা মারাত্মক ভয়ঙ্কর। তারা এও সন্দেহ করছেন যে, ওই দম্পতি দুজনের মাংসও খেয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রথমে ওই দুই মহিলার হাত-পা বেঁধে তাদের শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। তারপর দু’জনেরই স্তন কেটে ফেলা হয়। এরপর অপেক্ষা করা হয়েছিল তাদের শরীরের সব রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার। রক্ত শূন্য শরীর হওয়ার পর দু’জনের দেহ টুকরো করে কাটা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, একজনের দেহের ৫৬ টুকরো করা হয়েছিল। পরে সফির কথায়, সেই মাংস খেয়েছিল এই দম্পতি। ‘কাজ’ সম্পন্ন হলে বাকি শরীরের অংশ মাটিতে পুঁতে দেয় তারা।