ডানার দৈর্ঘ্য ৬ ফুট! বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী উদ্ধার এক সমাধিস্থল থেকে

ডানার দৈর্ঘ্য ৬ ফুট! বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী উদ্ধার এক সমাধিস্থল থেকে

নয়াদিল্লি: হঠাৎ করে দেখলে মনে হতে পারে কোনও কাল্পনিক সিনেমার জন্য তৈরি করা এক অদ্ভুত জীব। কিন্তু না, এটি জীবিত এবং বিলুপ্তপ্রায় একটি প্রাণী। কানপুরের কর্নেলগঞ্জের ঈদগাহ সমাধিস্থল থেকে এটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এটি একটি শকুন যা একেবারেই বিরল প্রজাতির। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এই প্রাণীটিকে।

আরও পড়ুন- ছোট দোকানিদের জন্য এবার ‘পকেট সাইজ লোন’! সরাসরি অ্যাকাউন্টে যাবে টাকা

এই প্রজাতির শকুনের নাম হিমালয়ান গ্রিফন। হিমালয়ে যে সব প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম হল এটি। এই শকুনের দু’টি ডানার দৈর্ঘ্য হল ছ’ফুট। তাই এই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে এখন উচ্ছ্বসিত ওই এলাকার বাসিন্দারা। অনেকেই নিজেদের মতো করে এই প্রাণীর সঙ্গে ছবিও তুলে নিয়েছেন। ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের এক অফিসার জানিয়েছেন, এই প্রজাতির শকুন মূলত ৪০ থেকে ৪৫ বছর বাঁচে। কিন্তু এখন তারা সঙ্কটাপন্ন। বড় মাপের ডানার কারণে অনেক উঁচুতে উড়তে পারে গ্রিফন। তবে তাদের চোখের ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় নীচের শব দেখতে কোনও অসুবিধা হয় না।

বলা হয়, এই শকুনরা শব খায় বলে মানুষের মধ্যে কম রোগ ছড়ায়। আর অন্যদিকে এদেরই আবার বাস্তুতন্ত্রের ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়। ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের ওই অফিসার আরও জানিয়েছেন যে, ২০২২ সালেই এই ধরনের আরও একটি গ্রিফন শকুনের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 2 =