দেরাদুন: আতঙ্কের প্রহর গুনছে এলাকা। কারণ যে কোনও মুহূর্তে ধসে যাওয়ার আশঙ্কা জোশীমঠের। ভবিষ্যৎ কার্যত অন্ধকার এলাকাবাসীর জন্য। ইতিমধ্যেই ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছে। এখন আবার জানা গিয়েছে যে, ফাটল ধরা বাড়ি, হোটেল ভেঙে ফেলা শুরু হচ্ছে। এই অবস্থায় জোশীমঠের বাসিন্দাদের পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়। জোশীমঠকে ভাঙতে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। বেশি বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে লাল দাগ দেওয়া হয়েছে। আগে ভাঙা হবে দুটি হোটেল যা একে অপরের দিকে হেলে গিয়েছে। কেন্দ্রের এবং বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দলগুলি কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সুড়ঙ্গই কি জোশীমঠের বিপর্যয়ের কারণ? যা বলছে NTPC
এই হোটেল বা অন্য বাড়িগুলি ভাঙা নিয়েও আশঙ্কা কম নেই। কারণ সেগুলি আছে জনবহুল জায়গায়। তাই এই ভাঙার কাজ করতে গিয়ে যাতে বাকি কোনও কিছুর ক্ষতি না হয় সেদিকে বিরাটভাবে নজর রাখতে হচ্ছে। তাই আগেই প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দলকে। অন্যদিকে, ওই হোটেল ছাড়াও আশেপাশে বাড়ি বা হোটেলের সকলকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে যে আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙা হবে তাতে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। ইতিমধ্যেই ১০০টিরও বেশি বাড়িকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, জোশীমঠকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করেছে প্রশাসন। তার মধ্যে আছে ‘ডেঞ্জার জোন’ বা বিপজ্জনক, ‘বাফার জোন’ বা অপেক্ষাকৃত কম বিপজ্জনক এবং ‘সেফ জোন’ বা নিরাপদ। সর্বপ্রথম বিপজ্জনক এলাকার বাড়িগুলি ভাঙা হবে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অবনমনের কবলে পড়েছে মোট ৬৭৮টি বাড়ি। শুধু মাত্র সোমবারই নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে ৬৮টি বাড়িতে।