দেরাদুন: বাড়ি, হোটেল, রাস্তাঘাট তো ছিলই, এবার জানা গেল জোশীমঠে সেনা শিবিরেও ফাটল ধরেছে। তা নিয়ে এখন অন্য চিন্তায় পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে যে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সেরেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জানা গিয়েছে, সেনা শিবিরের প্রায় ২৫-২৮টি ভবনে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনে সেনাদের অন্যত্র সরানো হবে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু তাতেও বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে ভারত। কিন্তু কী ভাবে?
আরও পড়ুন- মোট ৭ দফা দাবি, শহরে কর্মসূচির ডাক দিল গৃহ সহায়িকা ইউনিয়ন
বিষয় হল, ভারতীয় সেনা খেয়াল করেছে যে জোশীমঠের বর্তমান অবস্থায় ফায়দা তুলতে সীমান্তে সেনার সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ দেখাচ্ছে চিন। এই সময়ে যদি সীমান্ত সংলগ্ন জোশীমঠ এলাকা থেকে সেনা শিবির বা সেনাদের সরানো হয় তাহলে ঝুঁকি বাড়তে পারে। কিন্তু এলাকার অবস্থা এতটাই খারাপ যে ওই জায়গায় সেনা শিবির রেখে দেওয়ায় বিরাট ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কী করা হবে সেই নিয়ে দোলাচলে আছে সরকার। এদিন যে বৈঠক হয়েছে তার পৌরোহিত্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি, আর.কে সিং, ভূপেন্দ্র যাদব সহ আরও অনেকে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক, আইআইটি বিশেষজ্ঞরাও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
কিছুদিনের মধ্যেই জোশীমঠে ভাঙাভাঙির কাজ শুরু হবে বলে জানান হয়েছে। আরও আগে এই কাজ শুরু হতে পারত কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিল ক্ষতিপূরণের। সেই ঘোষণা না হওয়ায় তারা বিরোধ করছিলেন। তবে সম্প্রতি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তাই ভাঙার কাজও শুরু হবে। ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ঘোষণা করার পর আবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পিছু ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন।