নয়াদিল্লি: টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট জিরেক্টরেট (ইডি)। মণীশের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে মণীশকে ৬ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠান বিচারক। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে বেরোনোর পরেই মণীশকে জড়িয়ে ধরে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন তাঁর স্ত্রী। সেই সময় চোখে জল চলে আসে মণীশেরও৷ ধরা গলায় বলেন, ‘‘আমি কিছু করিনি। কোনও ভুল করিনি। আমার একমাত্র ভুল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) হওয়া।’’
আরও পড়ুন- চিংড়িহাটায় STF-এর হানা, ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার লক্ষাধিক টাকা–মাদক
মণীশ নিজেকে নির্দোশ বলে দাবি জানালেও, আদালতে ইডি-র অভিযোগ, বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রতের হয়ে তাঁর হিসাব রক্ষকই গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতেন৷ ইডি-র আইনজীবী নীতেশ রাণা রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে বলেন, অনুব্রত জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছেন, তাঁর টাকা-সম্পত্তি কোথায় কী ভাবে কাজে লাগানো হয়েছে, সব কিছু মণীশ জানেন। তিনিই গরু পাচারের টাকা নয়ছয় করেছেন।
দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মণীশকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার সকালে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের৷ কিন্তু মণীশের গ্রেফতারির পরেই সমন এড়ান কেষ্ট-কন্যা। আইনজীবী মারফৎ ইমেল পাঠিয়ে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান তিনি৷ শারীরিক অসুস্থতার ওজরে তলব এড়ালেও, কয়েক দিনের মধ্যে ফের তাঁকে সমন পাঠানো হবে বলে ইডি সূত্রের খবর।
২১ মার্চ পর্যন্ত ইডি-র হেফাজতে থাকবেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এর মধ্যে বাবা-মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, আসানসোল থেকে কলকাতায় আসার পথে শক্তিগড়ের রেস্তরাঁয় অনুব্রতর টেবিলে বসা তৃণমূলকর্মী কৃপাময় ঘোষকেও দিল্লিতে তলব করেছে ইডি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>