কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে গ্রুপ ডি নিয়োগে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এসএসসি’র বিরুদ্ধে৷ এবার আদিবাসী বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের দূর্নীতির অভিযোগ উঠল৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- নিয়োগে অনিয়ম, হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদের শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল SSC
মোট ৪০০ জন চাকরিপ্রার্থী পৃথক ভাবে মোট ৫টি মামলা দায়ের করেন। প্রতিটি মামলায় নিয়োগে বিস্তর গোলমালের অভিযোগ করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, আদিবাসী স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ আইন বহির্ভূত৷ যার জেরেই এসএসসি’র চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, অলচিকি ভাষায় শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয় ২০২১ সালে। নবম দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর কর্মশিক্ষা ও শরীর শিক্ষাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু আইন মেনে নিয়োগ করা হয়নি বলেও মামলাকারীদের অভিযোগ৷
অন্যদিকে, শিক্ষক নিয়োগে কিছু অনিয়ম হয়েছে বলে আদালতের সামনে কার্যত স্বীকার করে নেয় এসএসসি কর্তৃপক্ষ৷ প্রশান্ত দাস নামে এক ব্যক্তি নবম ও দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন৷ মেধাতালিকায় তাঁর নাম পেরিয়ে নীলমণি বর্মন নামে এক ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ জানান। মেধাতালিকায় নীলমণি বর্মনের নাম প্রশান্ত দাসের চেয়ে অনেক নীচের দিকে ছিল বলে দাবি৷ প্রশান্ত দাসের হয়ে আদালতে মামলা লড়েন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম৷ সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই রায়৷ এসএসসি’র তরফে চিঠি দিয়ে মামলাকারীর আইনজীবীকে ওই শিক্ষকের চাকরি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে৷ আবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি নিয়োগের প্রথমে ২৫ জনের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও অন্তত ৫০০ জনের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে দাবি করেছেন মামলাকারীরা৷