গ্রুপ ডি: CBI অনুসন্ধানে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল হাই কোর্ট

গ্রুপ ডি: CBI অনুসন্ধানে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল হাই কোর্ট

d4e3bf00e0250202271f74484ad43aec

কলকাতা: গ্রুপ ডি মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে জমা পড়ল রেকমেনডেশন লেটার। সিট এর এক সদস্যকে ডেকে ওই লেটার সম্পর্কে  জানতে চেয়েছে আদালত। এদিকে আদালতে এসএসসি’র বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময়ের পর তারা কোনও রেকমেন্ডেশন লেটার দিইনি। এর জবাবে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এসএসসি বলছে তারা কোনও রেকমেনডেশন লেটার সুপারিশ পত্র দেয়নি। তাহলে এই লেটারগুলো তাঁরা পেলেন কোথা থেকে? এদিকে,বিচারপতিহরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় চাপ বাড়ছে হাইকোর্টের নিযুক্ত কমিটির অপর। বিচারপতিহরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাপ বাড়ছে হাইকোর্টের নিযুক্ত কমিটির অপর। তাই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল তিন সপ্তাহ পর্যন্ত।

আরও পড়ুন- কম নম্বর পেয়েও দু’বার নিয়োগের সুপারিশ! ‘Blue Eyed Boy’ নাকি? প্রশ্ন হাই কোর্টের

এদিন বিচারপতি সরাসরি এসএসসি পক্ষের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, আপনাদের কাছে কী প্রমাণ আছে যে এগুলো আপনারা দেননি? আপনারা যে রেকমেন্ডেশন লেটার দিয়েছেন সেটার সঙ্গে এটার কোনও পার্থক্য আছে কি?  আপনাদের কোনও দায়িত্ব নেই? রেকমেনডেশন লেটারে কে সই করে?  এসএসসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখানে ডিজিটাল সই করা হয়। সেটারই অপব্যবহার করা হয়েছে৷ কিন্তু বিচারপতির প্রশ্ন, ডিজিটাল সাক্ষর নিশ্চয় সুরক্ষিত থাকে। তাহলে কী ভাবে সেটার অপব্যাবহার করা হল?

অভিযোগ, নিয়োগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর গ্রুপ ডি-তে ৯০ জন এবং গ্রুপ সি-তে ৫০ জন প্রার্থী নিয়োগ করে এসএসসি৷ যাঁদের মেধা তালিকায় নাম ছিল তাঁদের বাদ দিয়ে এই নিয়োগ হয়েছে৷ মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বহালতবিয়তে তাঁরা চাকরি করছেন এবং বেতন নিচ্ছেন৷ উল্লেখ্য, গ্রুপ ডি’র মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ৪ মে ২০১৯ সালে। আর গ্রুপ সি মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে ১৮ মে ২০১৯ সালে। 

এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধির পাশাপাশি আদালত এও জানিয়েছে যে, অবৈধভাবে নিয়োগ প্রমাণিত হলে চাকরির প্রথমদিন থেকে এতদিন পর্যন্ত যে বেতন তাঁরা পেয়েছেন তা সম্পূর্ণ ফেরত দিতে হবে। পাশাপাশি ২০১৯ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তুলে দিতে হবে আদালতের কাছে। আদালতের নির্দেশের আগে এবং পরে কমিশন নির্দেশ পালন করেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে৷ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে দুই সপ্তাহ পর।