কলকাতা: উত্তর দিনাজপুর গোয়ালপোখরের তুতিকাটা হরমা আদিবাসী জুনিয়র গার্লস স্কুলের ইংরেজি শিক্ষিকা ছিলেন সংযুক্তা রায়। উত্তর দিনাজপুরেরই রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলে তাঁর বদলি হয়েছিল। কিন্তু সেই বদলি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। এই ইস্যুতেই অভিযুক্ত ছিলেন রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এবার আদালতের নির্দেশে তিনি পদ খোয়ালেন।
আরও পড়ুন- ৫০ লক্ষ ভুয়ো কার্ড লক! কত রেশন পাবেন জানানো হবে SMS-এ
অভিযোগ ছিল, এক খুনের আসামি শিক্ষক জেল থেকে বেরনোর পর তাকে চাকরি দেওয়া হবে বলে তিনি এই শিক্ষিকাকে জয়েন করতে দিচ্ছেন না। সেই কারণেই গত ১৩ মাস ধরে শিক্ষিকা আচমকাই বেকার হয়ে গিয়েছিলেন। এই মামলায় আদালত রায় দিয়েছিল, এই শিক্ষিকার চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি নির্দেশ মতো কাজ না হয় তাহলে আদালত তার সর্বোচ্চ সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগ করবে। এবার প্রধান শিক্ষকের পদ খোয়ালেন রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কালীচরণ সাহাকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন সহকারী শিক্ষক হিসাবে কাজ করবেন। স্বপন চক্রবর্তী নামক ব্যক্তিকে এক মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন টিচার ইনচার্জ করা হয়েছে। এছাড়া আজই সংযুক্তা রায়ের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, উত্তর দিনাজপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শককে এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে। ১৩ মাস ধরে যে বেতন দেওয়া হয়নি সংযুক্তাকে, সোমবারের মধ্যে তা দিতে হবে চেক মারফত। নির্দেশ, কালীচরণ সাহা, স্বপন চক্রবর্তী এবং শুভাশিস বসাককে নিজের পকেট থেকে ওই বেতনের টাকা দিতে হবে। যা প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।