সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রত্যুষাকে ধর্ষণের হুমকি, লালবাজারের দ্বারস্থ অভিনেত্রী

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রত্যুষাকে ধর্ষণের হুমকি, লালবাজারের দ্বারস্থ অভিনেত্রী

কলকাতা:  সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী প্রত্যুষা পালকে ধর্ষণের হুমকি৷ ছবি সুপার ইম্পোজ করে পর্ণ সাইটে আপলোড৷ পরিচিতদের কাছে সেই ছবি ফরওয়ার্ড করে সম্মানহানির চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ৷ এর পরেই লালবাজারে ই-মেল করে অভিযোগ জানান অভিনেত্রী৷ 

আরও পড়ুন- নায়িকার শরীরী বিভঙ্গে কাবু নেট পড়া, ‘জাওয়ানি’ ধরে রাখতে কী করেন ক্যাটরিনা?

বেশ কিছুদিন ধরেই এই সমস্যার সম্মুখীন প্রত্যুষা৷ ২০২০ সালের জুন মাসে এই বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি৷ ফলে ফের লাল বাজারে যান অভিনেত্রী৷ প্রত্যুষা বলেন, গত এক বছর ধরে এই সমস্যা চলছে৷ আমার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট একটি প্রোফাইল থেকে মেসেজ আসতে শুরু করে৷ প্রথম প্রথম খুব স্বাভাবিক মেসেজ আসতো৷ ওটা কার অ্যাকাউন্ট জানি না৷ তাই ওই মেসেজগুলোর রিপ্লাইও করতাম না৷ পরে একটা সময় ওই অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিই৷ কিন্তু নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে ফের মেসেজ আসতে থাকে৷ একটি একটি করে অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে থাকি৷ তিনি জানান, এর পরেই হুমকি মেসেজ আসে যে, রাস্তায় বেরলেই তাঁকে ধর্ষণ করা হবে৷ শুধু তাঁকেই নয়, তাঁর কাছের বন্ধু, হেয়ার ড্রেসার, তাঁর মা ও পরিচিত অনেককেই একই ধরনের মেসেজ পাঠানো হয়৷ এমনকী পর্নোগ্রাফির ছবিতেও প্রত্যুষার মুখ কেটে বসানো হয়৷ 

প্রত্যুষা জানান, দিনের পর দিন এই ধরনের মেসেজ আসার পর একদিন পুলিশে যাওয়ার হুমকি দেন তিনিও৷ এর পরেই তিনি লাল বাজারের দ্বারস্থ হন৷ অভিনেত্রী জানান, প্রথমে লালবাজার থেকে বলা হয়, এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নয়৷ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো৷ সেটা ভেবেই একটার পর একটা অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে থাকেন৷ তত নতুন নতুন অ্যাকাউন্ট থেকে মেসেজ আসতে থাকে৷ কারণ এটা একজনেরই কাজ৷ নোংরা ভাষায় রীতিমতো ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে৷ এই বিষয়টা নিয়ে তিনি আতঙ্কিত বলেও জানান প্রত্যুষা৷  

আরও পড়ুন- অন্তর্বাসের আড়ালে উন্মুক্ত বক্ষ বিভাজিকা, নেট পাড়ায় আগুন ধরালেন জাহ্নবী

প্রত্যুষা আরও বলেন, আমাকে গোটা বিষয়টা এড়িয়ে যেতে বলা হলেও গত কয়েক দিন ধরে সমস্যা ভয়াবহ ভাবে বেড়ে গিয়েছে৷ শুক্রবারও লালবাজারে গিয়েছিলেন আমার মা৷ আগামী কাল আমাকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে৷ কিন্তু এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি৷ প্রতিদিনই এই ধরণের নোংরা মেসেজ দেখতে হচ্ছে৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + 11 =