গুরুতর অসুস্থ ‘গিতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বারবার ফিরে এসেছেন বাঙালির হৃদয়ে!

গুরুতর অসুস্থ ‘গিতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বারবার ফিরে এসেছেন বাঙালির হৃদয়ে!

কলকাতা:  গুরুতর অসুস্থ ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়৷ গ্রিন করিডর করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এসএসকেএম হাসপাতালে৷ নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে হালকা জ্বরও রয়েছে তাঁর৷ সম্প্রতি তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান দিতে চেয়ে ফোন এসেছিল দিল্লি থেকে৷ কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছেন৷ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি পদ্মশ্রী নেবেন কিনা? যা আঘাত করে তাঁর আত্মসম্মান বোধে৷ তিনি বলেন, ‘এভাবে কাউকে পদ্মশ্রী দেয়?’ 

আরও পড়ুন- গুরুতর অসুস্থ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, গ্রিন করিডর করে আনা হচ্ছে SSKM-এ

শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে আধুনিক বাংলা গানের জগতে তাঁর সুরের বিস্তার৷ তাঁর কন্ঠে প্রাণ পেয়েছে অগণিত গান৷ তাঁর ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় পুরস্কার৷ ১৯৭১ সালে ‘জয় জয়ন্তী’ এবং ‘নিশিপদ্ম’ ছবির জন্য এই পুরস্কার পান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়৷ ২০১১ সালে তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ উপাধিতে সম্মানিত করে রাজ্য সরকার৷ প্রায় গোটা জীবন সঙ্গীতের জগতে অতিবাহিত করেছেন তিনি৷ অথচ পদ্মশ্রী সম্মান এল এত দেরি করে৷ এতদিন এই সম্মানের জন্য যোগ্য মনে করা হল না তাঁকে৷ তাই খানিক অপমানেই পদ্ম সম্মান ফিরিয়ে দেন এই কিংবদন্তী গায়িকা৷ ফোনে সাফ জানিয়ে দেন, শেষ বয়সে এসে তাঁর এই সম্মানের প্রয়োজন নেই৷ 

১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর কলকাতার ঢাকুরিয়ায় জন্ম সন্ধ্যার৷ তাঁর বাবা নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন রেলের কর্মকর্তা৷ মায়ের নাম হেমপ্রভা দেবী৷ ছয় ভাইবোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ তিনি৷ পণ্ডিত সন্তোষ কুমার বসু, অধ্যাপক এটি ক্যানন এবং অধ্যাপক চিন্ময় লাহিড়ীর কাছে সঙ্গীত শিক্ষা লাভ করেন গীতশ্রী। তবে তাঁর গুরু ছিলেন উস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খান৷ তাঁর পুত্র উস্তাদ মুনাওয়ার আলি খানের ছত্রছায়ায় ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখেছিলেন তিনি৷

বাংলার পাশাপাশি সন্ধ্যা কাজ করেছেন মুম্বই ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতেও৷ ১৯৫০ সালে ‘তারানা’ ছবির একটি গান দিয়ে বলিউডে গান গাওয়া শুরু তাঁর। এর পর ১৭টি হিন্দি ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন৷ ব্যক্তিগত কারণে ১৯৫২ সালে কলকাতায় ফিরে আসেন৷ ১৯৬৬ সালে তিনি বাঙালী কবি শ্যামল গুপ্তের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়েন৷ শ্যামল গুপ্ত তাঁর অনেক গানের কথা লিখে দিয়েছিলেন। বাংলা বিনোদন জগতে অন্যতম সেরা ছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জুটি৷ 


 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + 4 =