দেড় বছর পর হঠাৎ সে দিন পার্টিতে পল্লবীর মুখোমুখি ঐন্দ্রিলা, কী কথা হয়েছিল সেদিন?

দেড় বছর পর হঠাৎ সে দিন পার্টিতে পল্লবীর মুখোমুখি ঐন্দ্রিলা, কী কথা হয়েছিল সেদিন?

কলকাতা: অভিনেত্রী পল্লবী দে-র রহস্যমৃত্যুতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর মোড়। ইতিমধ্যেই পল্লবীর লিউ ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তী ও তাঁর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গরফা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর বাবা-মা। কিন্তু সাগ্নিকের ওই ‘বান্ধবী’র দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঐন্দ্রিলা জানান, তিনি ও পল্লবী একই সঙ্গে একই পাড়ায় বড় হয়েছেন। তাঁদের এক সঙ্গে বড় হতে দেখেছে পল্লবী পরিবার। তিনি ভাবতেই পারছেন না কী ভাবে তাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করতে পারেন।

আরও পড়ুন- পল্লবী-সাগ্নিকের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার গাঁজা-হুক্কা! কাকে শেষ কল করেছিলেন অভিনেত্রী?

পল্লবীর সঙ্গে তাঁর বিশেষ  যোগাযোগ ছিল না বলেও জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলা৷ তাঁর কথায়, ‘‘পল্লবীর সঙ্গে আমার সে ভাবে যোগাযোগ ছিল না। মাঝেমধ্যে হয়তো ফোন বা মেসেজে খবর নিতাম। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে কে কী করছি, তা কেউই কখনও জানতে চাইতাম না।’’ তিনি আরও বলেন, টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। পল্লবীর ছোটবেলার বান্ধবী ঐন্দ্রিলার দাবি, তাঁদের মধ্যে এমন কোনও সম্পর্ক ছিল না যে, কেউ কারও সম্পত্তির হিসেব রাখবেন।

ঐন্দ্রিলা এও জানান, পল্লবীর মাধ্যমেই সাগ্নিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। কিন্তু, সেটা নেহাতই বান্ধবীর ‘বয়ফ্রেন্ড’ হিসাবে। এর বাইরে তাঁদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক বা মেলামেশা ছিল না। পল্লবীর অবর্তমানে ওঁর গরফার ফ্ল্যাটে ‘নিয়মিত যাতায়াত’-এর যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন৷ ঐন্দ্রিলার দাবি, তিনি কোনও দিন গরফার ফ্ল্যাটে যাননি। এর আগে অবশ্য ঐন্দ্রিলা বলেছিলেন, তিনি মাত্র এক দিন ওই ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, ‘‘মাঝেমধ্যে পল্লবীর সঙ্গে ফোনে কথা হলেও গত দেড় বছর ওঁর সঙ্গে দেখা হয়নি৷ তবে কিছু দিন আগে একটা পার্টিতে হঠাৎই দেখা হয়েছিল। কিন্তু, ওঁর আর সাগ্নিকের মধ্যে কী হয়েছিল, কিংবা ওঁদের ব্যক্তিগত সমস্যা কী, এ নিয়ে কোনও দিন কথা হয়নি। বরং পল্লবী বলেছিল, ও  লিভ-ইন সম্পর্কে ভাল আছে। বিয়ের পরিকল্পনাও করছে। কিন্তু এর মাঝে এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে, ভাবতেও পারিনি!’’ এই মামলার তদন্তে তিনি পুলিশকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলা৷