কলকাতা: অভিনেত্রী পল্লবী দে এবং মডেল বিদিশা দে মজুমদারের পর ফের রহস্য মৃত্যু টলিপাড়ার৷ পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ৷ মেয়ের মৃত্যুর পর অভিনেত্রী মঞ্জুষার মা বললেন, ‘‘এদের সামনে প্রচুর প্রচুর টাকার হাতছানি। এরা ভাবে, যা ইচ্ছে তাই করব। আমার মেয়েও সব সময় উপরে ওঠার চিন্তা করত। আর সেটাই কাল হল।’’
আরও পড়ুন- পল্লবীর মৃত্যুরহস্যে নয়া চরিত্র! কে এই স্টিভ? পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
পরিবার সূত্রে খবর, প্রথমে পল্লবী এবং তার পর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিদিশার মৃত্যুর পরেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মঞ্জুষা। তাঁর মায়ের কথায়, ‘‘ও শুধু বিদিশার কথা। ওরা খুব ভালো বন্ধু ছিল। ও চলে যাওয়ার পর আরও বেশি করে মৃত্যু বাসনা জেগে উঠেছিল আমার মেয়ের মধ্যে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ও আমাকে বলেছিল, ‘পল্লবীর বাড়িতে সাংবাদিকরা এসেছিল, তোমার বাড়িতেও আসবে।’ আমি ওকে অনের করে বুঝিয়েছি। কোনও লাভ হল না।’’
মঞ্জুষার মা জানান, দিন চারেক আগেই বাপের বাড়িতে এসেছিল তাঁর মেয়ে। তিনি বলেন, ‘‘বিদিশার সঙ্গে ওর খুব ভালো বান্ধবী ছিল। একসঙ্গে ওরা অনেক কাজ করেছে। কাল সারা দিন বিদিশার কথাই বলেছে৷ বার বার একটাই কথা বলছিল, আমিও বিদিশার মতো করব।’’
তবে জামাইয়ের খুবই প্রশংসা করেন মঞ্জুষার মা৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার জামাই খুবই ভাল মানুষ। বিয়ের পর জামাই ওকে বলেছিল, একসঙ্গে এত কাজ করতে হবে না। ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার জন্য মেয়ে শরীর রোগা রাখত, খাওয়া-দাওয়া কম করত। ভালো খেতে বলতাম৷ কিন্তু ও নিজেকে এভাবে শেষ করে দিল।’’
মঞ্জুষার মা আরও বলেন, ‘‘মাত্র ছ’মাস আগে ওদের বিয়ে হয়েছিল। বৃহস্পতিবার জামাই ওকে নিতে এসেছিল। ও কাজ নিয়ে হতাশ ছিল। ঠিক মতো কাজ পাচ্ছিল না। জামাই বলত, অত চিন্তার কিছু নেই। কাজ না পেলে না পাবে। ছেলে-মেয়ে হওয়ার পর আবার চেষ্টা করবে।’ ওকে জামাইয়ের কথা বললেই ও বলত, ‘তুমি তোমার জামাইকে নিয়ে থাকো। আমি চললাম।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>