টিকাপ্রাপ্ত করোনাজয়ীদের ‘ডেল্টা’ ঠেকানোর ক্ষমতা বেশি! দাবি করছে ICMR

টিকাপ্রাপ্ত করোনাজয়ীদের ‘ডেল্টা’ ঠেকানোর ক্ষমতা বেশি! দাবি করছে ICMR

077997e5071b360a2d09ecddd3d42a71

নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা এখন থেকেই গ্রাস করেছে দেশবাসীকে। অনেকেই মনে করছেন যে, করোনাভাইরাসের ‘ডেল্টা’ এবং ‘ডেল্টা প্লাস’ প্রজাতি থেকে তৃতীয় ঢেউ আসবে। কিন্তু এরই মাঝে একাধিক গবেষণা দাবি করেছে যে ভ্যাকসিন এই প্রজাতিকে আটকাতে সক্ষম। কোন ভ্যাকসিন কত শতাংশ এই প্রজাতির বিরুদ্ধে কার্যকর তা নিয়ে একাধিক রিপোর্ট বেরিয়েছে। এবার আরো এক ধরনের রিপোর্ট দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর। তাদের দাবি, যারা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন তারা যদি ভ্যাকসিন নেন তাহলে এই প্রজাতির বিরুদ্ধে তারাই সব থেকে বেশি শক্তিশালী। অর্থাৎ টিকা প্রাপ্ত করোনাজয়ীরা ‘ডেল্টা’ প্রজাতির বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি ক্ষমতাবান।

আইসিএমআর জানাচ্ছে, তাদের পরীক্ষায় জানা গিয়েছে যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত না হয়ে যারা একটি বা দুটি ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের থেকে যারা আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠে ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা এই করোনাভাইরাস প্রজাতির বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি ক্ষমতাবান। সংক্রমণ থেকে সেরে উঠে ভ্যাকসিন নেওয়া এবং সংক্রমিত না হয় ভ্যাকসিন নেওয়া রোগীদের মধ্যে তুলনামূলক পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্তে এসেছে আইসিএমআর। একইসঙ্গে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ, কমান্ডো হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের গবেষকরাও একই কথা বলছেন। যদিও এই গবেষণার এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত ফলাফল যাচাই হয়নি তাই চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীমহলের একাংশ এতে সীলমোহর দেয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, করোনা জয়ীদের শরীরে অ্যান্টিবডি কিছুটা হলেও থাকে এবং তার ওপর আবার যদি ভ্যাকসিন শরীরে ঢুকে তাহলে প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বেড়ে যায়। সেই কারণেই হয়তো আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা পরবর্তী ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নিলে বেশি শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছেন। 

আরও পড়ুন- লাগানের সেটে আলাপ থেকে লিভ ইন-বিয়ে, আমির-কিরণের সম্পর্কের সফর

এদিকে এই ‘ডেল্টা’ প্রজাতি নিয়ে আশঙ্কিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতির সংক্রামক রূপ সবথেকে বেশি প্রবল। অর্থাৎ এর সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির থেকে অনেক বেশি। তাই অবশ্য ভাবে এই প্রজাতি নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে তাদের। আরো চমকে দেওয়ার মতো ব্যাপার, ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ দেশে এই প্রজাতির অস্তিত্ব মিলেছে বলে জানতে পেরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *