কলকাতা: মার্চ মাস শেষ হতে শুরু করলেই যেন আতঙ্ক বাড়ে। তীব্র গরমের কথা ভাবলে মাথা ঘুরে যায়। এপ্রিল, মে, জুন মাস তাই অনেকের কাছেই বিভীষিকা। বিগত কয়েক বছরে অবশ্য তাপ অনেকাংশে বেড়েছে। প্রবল গরম অনুভূত হচ্ছে। বৃষ্টির দেখা মিলছে না, উলটে তাপমাত্রা বেড়ে প্রায় ৪০, ৪৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলছে। এই অবস্থায় আবার অনেকে নানাবিধ রোগের সম্মুখিন হন। সেই সব রোগের মধ্যে সবথেকে বেশি আতঙ্ক থাকে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে। আর গবেষকরা বলছেন, এই গরমে হৃদরোগের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানসিক অবসাদ থেকেও বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাক! সতর্ক করছেন গবেষকরা
ইউরোপিয়ান এক হার্ট জার্নাল বলছে, ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শুধুমাত্র গরম থেকেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৭ হাজার মানুষ। অন্যান্য অনেক গবেষকরাই বলছেন যে, প্রচণ্ড গরম হৃদরোগের ঝুঁকি আগের থেকে অনেক বেশি বাড়িয়ে দিচ্ছে। গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন। পথে চলতে গিয়ে বা ট্রেন, বাসে যেতে গিয়ে এমন ঘটনা হয়তো অনেকেই দেখেছেন যে কেউ অজ্ঞান হয়ে গেল বা অসুস্থ হয়ে পড়ল। প্রবল তাপই এর জন্য দায়ি। তাই গরম থেকে সতর্ক হওয়ার কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক, গবেষকরা। সেগুলি মেনে চললে সুস্থ থাকা যাবে।
কী কী মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে? জানান হচ্ছে, গরম থেকে বাঁচার সবথেকে ভাল উপায় হল বেশি করে জল পান। সারা দিনে কমপক্ষে ৪ লিটার জল খাওয়াই উচিত। এছাড়া প্রস্রাব করার আগে পরে জল পান জরুরি। একই সঙ্গে বলা হচ্ছে, অতিরিক্ত মদ্যপান, সিগারেট থেকে দূরে থাকতে। পাশাপাশি, হালকা জামাকাপড় পরতে বলা হচ্ছে, দুপুরের সময়ে যথা সম্ভব বাড়িতে বা অফিসে থাকতে বলা হচ্ছে। এক কথায়, ছাওয়ায়। এছাড়াও যাদের ইতিমধ্যেই হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাদের ওষুধ বন্ধ করা চলবে না বলেই স্পষ্ট করা হচ্ছে। গবেষকরা আরও বলছেন, মাথার যন্ত্রণা, ত্বকে ভিজে ভাব, শীত করা, খুব বেশি ঘাম, এই ধরণের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে।