কলকাতা: ২০১৯ সালের পর থেকে করোনা ত্রাসে স্ত্রস্ত হয়েছে গোটা বিশ্ব। বিগত প্রায় দুই বছর ধরে এই রোগের কারণে ভীতি বেড়েছে মানুষের। রোগ নিয়ে তো চিন্তা আছেই, সঙ্গে রয়েছে করোনার কোপে কাজ হারানোর ব্যথা, প্রিয়জনকে হারানোর শোক, ঘরবন্দি হয়ে থাকার পীড়ন, এক কথায় মানসিক অবসাদ। আর এই সময়েই গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন যে হৃদরোগের পরিমাণ আগের থেকে অনেক বেড়েছে। তাহলে কি অবসাদের সঙ্গে হৃদরোগের কোনও সম্পর্ক আছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন আছে। তাই তারা সতর্ক করছেন সকলকে।
আরও পড়ুন- ১৪১ দিন ধরে লাগাতার ধর্না, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণের অপেক্ষায় হবু শিক্ষকরা
স্পেনের গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের কথায়, মানসিক অবসাদ হৃদরোগের আশঙ্কা বহুলাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ মানসিক অবসাদ ও হৃদরোগের ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’গুলির মধ্যে বেশ মিল রয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই দেখা যায় এক ধরণের সমস্যা। প্রদাহ এবং কোষের জারণ ঘটিত চাপ, এতেই বেড়ে যায় এই রোগের ঝুঁকি। এই গবেষকরা ৬ হাজার ৫৪৫ জনের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছেন। এই গবেষণাটি চলেছে প্রায় ৬ বছর ধরে এবং তা করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৭৫ বছর বয়সি পুরুষ ও ৬০ থেকে ৭৫ বছর বয়সি নারীদের ওপর। দেখা গিয়েছে, যাদের মানসিক অবসাদের মাত্রা বেশি, তাঁদের হৃদযন্ত্রের সমস্যায় অতিরিক্ত বেশি ঝুঁকি দেখা যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাই তাদের বক্তব্য, শারীরিক তো বটেই, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও জোর দেওয়া ভীষণ রকম জরুরি।
এখানে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, এভাবে কেন হঠাৎ হৃদরোগ বাড়ছে। শুধুই কি মানসিক সমস্যা। আসলে না। দাঁতের সমস্যা থেকেই এই রোগ হতে পারে। পাশাপাশি রয়েছে আরও বেশ কিছু সমস্যা। তাদের মধ্যে অন্যতম অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপান, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়বেটিস, শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে যাওয়া ইত্যাদি।