একাধিক নায়কের সঙ্গে জড়িয়েছিল নাম, এক এমএমএসেই শেষ এই নায়িকার কেরিয়ার

একাধিক নায়কের সঙ্গে জড়িয়েছিল নাম, এক এমএমএসেই শেষ এই নায়িকার কেরিয়ার

মুম্বই: বেশ লড়াই করেই নিজের জায়গাটা পাকা করেছিলেন তিনি৷ তবে অভিনয় জগতে পা দেওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি৷ অভিনয়, আইটেম গান, সম্পর্কের গুঞ্জন… সব মিলিয়ে শিরোনামেই ছিলেন ভোজপুরী অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা পণ্ডিত। কিন্তু, ২০২১ সালে আচমকাই ফাঁস হয়ে যায় তাঁর একটি ব্যক্তিগত ভিডিয়ো। এমএমএসকাণ্ডে নাম জড়ানোর পর তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েন অভিনেত্রী। বদলে যায় তাঁর জীবন৷ 

আরও পড়ুন- রূপম-অরিজিতের যুগলবন্দি! অনুরাগীদের ইচ্ছা পূরণ করলেন দুই শিল্পী

১৯৯১ সালের ৩০ জুন উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে জন্ম প্রিয়াঙ্কার। তবে ছোটবেলাতেই তাঁকে ও তাঁর ভাইকে নিয়ে গুজরাতের আমদাবাদে চলে আসেন তাঁদের বাবা-মা। আমদাবাদের স্কুলে পড়াশোনা শেষ করার পর আমদাবাদেরই একটি কলেজ থেকে স্নাতক হন প্রিয়াঙ্কা। প্রথম থেকেই বলিউডের হিরোইন হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি৷ সেই স্বপ্ন পূরণে বেশ কয়েক বছর মুম্বইয়ে ইন্ডাস্ট্রির অলিতেগলিতে চক্করও কাটেন৷ কিন্ত কোনও সুযোগ হাতে আসেনি৷ এর পর ভাগ্যপরীক্ষা করতে ভোজপুরি ফিল্ম দুনিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করেন প্রিয়াঙ্কা। বেশ কিছু দিন প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করার পর অবশেষে খুলে যায় ভাগ্যের দরজা৷ 

২০১৩ সালে ভোজপুরি সিনেমা ‘জিনা তেরি গালি মে বাবু’র হাত ধরে ভোজপুরি ছবিতে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর৷ প্রথম ছবিতেই দর্শকদের মন ছুঁয়ে যান। বাড়তে থাকে অনুরাগীর সংখ্যাও। ওই ছবির জন্য সেরা নবাগতা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি। এর পর তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ভোজপুরি সিনেমার শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে গণ্য হতে থাকে প্রিয়ঙ্কার নাম। ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সমস্ত বড় অভিনেতার সঙ্গে কাজও করেন তিনি৷ 
 

অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিংও করেছেন প্রিয়াঙ্কা। অনেক বিজ্ঞাপনেও দেখা গিয়েছে তাঁকে৷ এক সময় ভোজপুরী তারকা প্রদীপ পাণ্ডে এবং পবন সিংহের সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল অভিনেত্রীর।  ‘মাত দেন মেরি সওতান কো’, ‘বেহনোই জি’, ‘মেরে পেয়ার কো তুম ভুলা তো না দোগে’ এবং ‘পুলিশগিরি’র মতো বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় প্রিয়াঙ্কা তখন কেরিয়ারের শীর্ষে। এমন সময় ২০২১ সালে প্রকাশ্যে আসে একটি এমএমএস৷ সেই কাণ্ডের জেরেই ছারখার হয়ে যায় তাঁর অভিনয় জীবন। 

ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পর এ বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটেন অভিনেত্রী। তবে সম্প্রতি এ বিষে মুখ খোলেন প্রিয়ঙ্কা। অভিনেত্রীর দাবি, তাঁর কেরিয়ার এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যেই ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ এই ভিডিয়োতে তাঁর নাম জুড়ে দিয়েছিল৷ এই ভিডিয়োই তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন প্রিয়াঙ্কা। তবে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ করেছেন অভিনেত্রী। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। কিন্তু এক বথর পর কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন প্রিয়াঙ্কা? সেই প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে৷