কোচি: দেশে কোভিড পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক৷ গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ হাজার ৫২৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশের মোট আক্রান্ত হলেন ৬৮ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬৫৫ জন। কিন্তু আমাদের দেশে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে থাবা বসাতে পারেনি করোনা ভাইরাস৷ মেলেনি একজন করোনা আক্রেন্তেরও হদিশ৷ হ্যাঁ, করোনা মুক্ত সেই লাক্ষাদ্বীপেই এবার খুলে দেওয়া হল প্রাথমিক স্কুলের দরজা৷
আরও পড়ুন- সাবধান! বাংলায় গজিয়ে উঠেছে ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়, তালিকা দিল UGC
আট মাস পর ফের স্কুলের পথে পা বাড়াল লাক্ষাদ্বীপের কচিকাঁচারা৷ তাদের স্বাগত জানাতে নতুন করে সেজে উঠল স্কুল৷ অধিকাংশ স্কুলের দেওয়ালে পড়ল নতুন রঙের প্রলেপ৷ দেওয়ার জুড়ে আঁকা হল রং-বেরঙের ছবি৷ খুদে পড়ুয়াদের দেওয়া হল বেলুন৷ চলতি শিক্ষাবর্ষে এই প্রথম স্কুলে পা রাখল প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ারা৷
আট মাস আগে দেশে ধরা পড়ে প্রথম কোভিড সংক্রমণ৷ সেই থেকে এখনও পর্যন্ত একজনও কোভিডে আক্রান্ত হননি এই লাক্ষাদ্বীপে৷ তাই শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চলের প্রশাসক দীনেশ্বর শর্মা৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিল পেরেন্ট-টিচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও৷ আগেই স্কুলে আসার ছাড়পত্র পেয়েছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা৷ গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলে আসা শুরু করেছে তারা৷ এবার পালা খুদেদের৷ সব মিলিয়ে ফের স্কুল মুখো হয়েছে কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চলের ১০টি জনবহুল দ্বীপের ১১ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া৷ তবে প্রি-প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চাদের এখনও স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ এই দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ৬৪ হাজার৷
আরও পড়ুন- মাইক হাতে গান গেয়ে পড়ুয়াদের বিজ্ঞান পড়াচ্ছেন শিক্ষিকা, ভাইরাল ভিডিয়ো
অ্যামিনি দ্বীপের গভর্নমেন্ট জুনিয়র বেসিক স্কুলের শিক্ষক জানান, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১২৬ জন পড়ুয়া স্কুল শুরু করেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘স্কুলে ঢোকার মূল দরজাতেই রাখা হয়েছে থার্মাল স্ক্রিনিং-এর ব্যবস্থা৷ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ ক্লাসরুমে ঢোকার আগে পড়ুয়াদের হাত ধুয়ে নিতে হবে৷ একটি বেঞ্চে ২ জন পড়ুয়াকে বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷’’ স্কুলে পর্যায়ক্রমে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে৷ স্কুল হচ্ছে দুপুর পর্যন্ত৷ লাক্ষাদ্বীপের এডুকেশনাল অফিসার সৌকত আলি বলেন, স্কুল খুললেও ক্লাস করার জন্য অভিভাবকদের অনুপতিপত্র আবশ্যক৷ স্কুলে রান্না করা খাবারের বদলে চাল, ডাল, আলু প্রভৃতি বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷