একগুচ্ছ নিয়মের জালে কলেজ খোলার নির্দেশিকা UGC-র

একগুচ্ছ নিয়মের জালে কলেজ খোলার নির্দেশিকা UGC-র

নয়াদিল্লি: করোনা আবহে গত মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়৷ তবে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনে বেশ কিছু রাজ্যে শুরু হয়েছে স্কুল৷ কলেজ খোলা নিয়েও আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজ্যে৷ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খোলার আগে বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট গাইডলাইন ছকে দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)৷   

আরও পড়ুন- আরও কতদিন বন্ধ থাকবে স্কুল? নবান্নে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস হবে৷ কিন্তু কখনই ৫০ শতাংশের বেশি পড়ুয়াকে এক সঙ্গে ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া হবে না৷ এছাড়াও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কোনও সাংস্কৃতির অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ করা যাবে না৷ তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দশিকা মেনে খেলাধুলা করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে৷ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘‘কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলি পর্যায়ক্রমে খোলার পরিকল্পনা করা যেতে পারে, যেখানে সোশ্যাল ডিস্টেনসিং মেনে চলা সম্ভব৷ এছাড়াও মাস্ক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে৷ এর মধ্যে প্রশাসনিক দফতর, গবেষণাগার এবং গ্রন্থাগার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে৷’’  

ইউজিসি’র নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, সকল বিভাগের গবেষণারত এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে৷ কারণ এই বিষয়গুলির ছাত্রছাত্রী সংখ্যা তুলনায় অনেকটাই কম৷ এক্ষেত্রে ফিজিক্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে চলা অনেক সহজ হবে৷ এছাড়াও অন্যান্য নিয়ম বিধি কার্যকর করাও সহজেই সম্ভব হবে৷ তবে হোস্টেলে রুম শেয়ার করার অনুমতি দেওয়া হবে না৷ যে সকল পড়ুয়ার মধ্যে কোভিডের লক্ষণ রয়েছে, তাঁদের কোনও ভাবেই হোস্টেলে আসার অনুমতি দেওয়া যাবে না৷  

আরও পড়ুন- ১৪,০০০ স্কলার্শিপের ঘোষণা UGC-র, সঙ্গে মাসিক ৭৮০০ টাকা স্টাইপেন্ড!

প্রতিটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেন্দ্রের সাহায্যপ্রাপ্ত অন্যান্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট উপাচার্য এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের উপর দেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে, রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকেই৷ তবে ইউজিসি’র নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে থাকা কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি নেই৷ এমনকী কনটেনমেন্ট জোনের কোনও পড়ুয়াকেও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না৷ প্রত্যেক অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, স্টাফ এবং পড়ুয়াদের ফোনে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ থাকা বাঞ্ছনীয়৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × three =