কলকাতা: রাজ্যের অধীনস্ত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপচার্য ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে আজ বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করে কী ভাবে করা যায়৷ ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও অশিক্ষক কর্মচারী, অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রেখে কী ভাবে পঠনপাঠন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- এখনই খুলছে না রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, উপাচার্যদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত রাজ্যের
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, উপাচার্যরা যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা গ্রহণ করা হয়েছে৷ এর আগেও উপাচার্যরা জানিয়েছিলেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজোড় সংখ্যার সেমিস্টারগুলির (যেমন-প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ইত্যাদি) পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হবে৷ এদিনও একই সিদ্ধান্তে তাঁরা সিলমোহর দিয়েছেন৷ ৩১ মার্চের মধ্যে এই পরীক্ষা শেষ করা হবে৷
কিন্তু কবে হবে জোড় সংখ্যার সেমিস্টার? এ বিষয়ে অভিভাবরাও জানতে চেয়েছেন৷ এপ্রিল মাসে নির্বাচন৷ ফলে কবে জোড় সংখ্যার সেমিস্টার হবে উপাচার্যরা নিজেরাই এই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন৷ এই বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকারও৷ তিনি জানান, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের বিষয়টিও তাঁদের দেখার কথা বলা হয়েছে৷ ছাত্রদের স্বার্থ সবার আগে দেখা হবে৷
তবে এই মুহূর্তে উপাচার্যরা হোস্টেল খোলার পক্ষে নন৷ স্বাস্থ্য বিধি মেনে হোস্টেল খোলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন তাঁরা৷ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন না হলেও অফিস খোলা রয়েছে৷ যাতে পড়ুয়া বা অভিভাবকদের কোনও অসুবিধা না হয়৷
এদিন বৈঠকে সরস্বতী পুজো নিয়েও কথা হয়েছে৷ কী ভাবে পুজো করা হবে সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণই বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলির উপর নির্ভর করছে বলে জানা শিক্ষামন্ত্রী৷ তবে কোনও ভাবেই কোভিড বিধি লঙ্ঘন করা যাবে না বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন- অফলাইনেই হবে দশম-দ্বাদশের পরীক্ষা! সূচি ঘোষণা CBSE-র
এদিকে বিবেকানন্দ মেরিট কাম-মিশন স্কলারশিপের জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছিল গত বছর ৭ই অক্টোবর৷ সেই সময় বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে৷ ১৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে৷ এর পর আর আবেদন গ্রহণ করা হবে না৷ ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ৩৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, আবেদন জমা নেওয়া বন্ধ হলে অর্থ দফতরের কাছে গিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হবে৷
তিনি বলেন, গত দশ বছরে রাজ্যে শিক্ষাখাতে প্রভুত ব্যয় বরাদ্দ বেড়েছে৷ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে৷ এর একটি রিভিউ প্রয়োজন৷ এছাড়াও কলেজগুলির অ্যাকাডেমিক এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অডিট হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ উচ্চশিক্ষা কাউন্সিবের তিনটি প্রস্তাবে নীতিগত ভাবে সম্মতি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান৷