কলকাতা: তথ্য গোপন করা নিয়ে এদিন আরও একবার রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, কোনও তথ্যই দিতে চায় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ কোনও রকম সহযোগিতা করে না তারা৷
আরও পড়ুন- দু’হাত খুলে টাকা বিলোচ্ছে রাজ্য, অথচ রাজভবনের জন্য অর্থ নেই! চরম অর্থকষ্টে রাজ্যপাল!
এদিন রাজ্যপাল বলেন, আম্পান ত্রাণ হোক বা পিপিই কিট, কোনও প্রশ্নের সদুত্তর দেননি মুখ্যমন্ত্রী৷ বিজিডিএস সহ একাধিক বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম, উত্তর মেলেনি৷ তথ্য দেওয়া হয়নি৷ সমস্ত তথ্য চেপে দেওয়া হয়েছে৷ বিরোধী দলনেতাকেও কোনও তথ্য দেন না তিনি৷ শুনে চোখে জল এসে গিয়েছিল৷
তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রেও কোনও নিয়ম মানছে না রাজ্য সরকার৷ রাজ্যপাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে বারণ করেছেন৷ বাইরে কারও সঙ্গে কথা বলতেও নিষেধ করেছেন৷ মুখ্যন্ত্রীর এই ভূমিকা হাস্যকর৷ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, ‘‘নিজেকে সংশোধন করে নিন৷’’ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব রাজ্যপালকে সবকিছু জানানো৷ এটা আমার কথা নয়, সংবিধানের ধারায় এ কথা বলা আছে৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান মানছেন না৷
আরও পড়ুন- ফের শুরু পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলার কাজ, নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ
তথ্য দেওয়া নিয়ে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু তাঁর মন্তব্যের রেশ ধরেই তাঁরে পাল্টা এক হাত নেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীন রঞ্জন চৌধুরী৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘তথ্য গোপন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের দেখানো পথেই রাজ্য হাঁটছে রাজ্য৷ টুইট করে তিনি বলেন, ‘‘সত্য গোপনের জন্য তথ্য জানার অধিকার আইনের তোয়াক্কা করছে না কেন্দ্রীয় সরকার৷ কেন্দ্রের পথে হেঁটে সাধারণ মানুষকে তাঁদের তথ্য জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার৷ স্বচ্ছতার স্বার্থে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক তৃণমূল সরকার৷’’ কটাক্ষের সুরে অধীর আরও লিখেছেন, ‘‘এই ঐতিহাসিক দিনে এইটুকু অন্তত করে দেখাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷’’