‘সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক ভৃত্যে পরিণত হচ্ছে’, ফের তোপ রাজ্যপালের

‘সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক ভৃত্যে পরিণত হচ্ছে’, ফের তোপ রাজ্যপালের

কলকাতা: লাদাখ সীমান্তে গালওয়ানে শহিদ জওয়ান বিপুল রায়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার সকালে সস্ত্রীক উত্তরবঙ্গে পৌঁছন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷ বিপুল রায়ের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তিনি৷ এর পর শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের আক্রমণ শানালেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে৷ বললেন, ‘‘সরকারি কর্মীরা কেউ রাজনৈতিক কর্মী নন৷’’ 

আরও পড়ুন- ক্লাবকে কেন পুজোর অনুদান? পুরোহিত ভাতার বিরুদ্ধেফের জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

 

এদিন রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যপাল হোক বা মুখ্যমন্ত্রী, কেউই সংবিধানের উর্দ্ধে নয়৷ পুলিশ প্রশাসনের কখনই এটা ভোলা উচিত নয় যে, তাদের রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকতে হবে৷ কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব করতে পারেন না তাঁরা৷ তাঁদের মনে রাখতে হবে, তাঁরা সরকারি কর্মী, কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়৷ তাঁরা সরকারের জন্য কাজ করবেন, রাজনৈতিক দলের জন্য নয়৷ রাজ্যপাল বলেন, এখন দেখছি সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিক ভৃত্যে পরিণত হচ্ছে৷ খুব দুঃখের সঙ্গে বলছি, রাজ্যের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক৷ সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করতে শুরু করেছে৷ সরকারি কর্মী হিসাবে তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন না৷ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ যা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়৷ 

 

অন্যদিকে শিলিগুড়ির বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, আমি উত্তরবঙ্গে এসে খুবই খুশি। উত্তরবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ আমি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যাব। এখানকার চা শিল্প বাংলাকে সারা বিশ্বে পরিচিতি এনে দিয়েছে। 

 

আজ সকালে রাজ্যপাল আসার আগে আলিপুরদুয়ারের বিন্দিপাড়া গ্রামে সেনা তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো৷ প্যারেড গ্রাউন্ডে বালি-পাথর ফেলে অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। তবে রাজ্যপাল আসার আগে আলিপুরদুয়ারের রাস্তা একাধিক বিতর্কিত পোস্টারে ছেয়ে যায়৷ কোনও কোনও পোস্টারে রাজ্যপালকে পঙ্গপাল বলেও উল্লেখ করা হয়৷ আক্রমণ করা হয় বিজেপি’র দাস বলে৷ সবকটি পোস্টারেই দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের নাম৷ তৃণমূলই এই পোস্টার দিয়েছে কিনা, সে সম্পর্কে অবশ্য মুখ খোলেনি শাসক দল৷ 

আরও পড়ুন- আরজি করে শিশু মৃত্যু! ৩ মাসে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের

 

রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালেক বিবাদ চরমে উঠেছে৷ একাধিক বিষয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে৷ এর আগে গান্ধী জয়ন্তীর দিন রাজ্যপালকে ‘নৈরাজ্যপাল’ বলে তোপ দেগেছিলেন ব্রাত্য বসু৷ অন্যদিকে, তাঁকে ‘লাইনজীবী’ বলে কটাক্ষ করেন আসনসোলের তৃণমূল মেয়র জিতেন তিওয়ারি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *