কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য ভবনের ভূমিকা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ৷ আরজিকর হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ৷ আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
শুক্রবার মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্রজেশ ঝ এবং তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি আদালতে জানান চন্দননগরের দত্ত দম্পতির চলতি বছরের ১২ জুন একটি শিশুর জন্ম দেয় ।তার পরের দিন অর্থাৎ ১৩ জুন শিশুটি অসুস্থ হওয়ায় তাকে কলকাতা আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভর্তি করার পরে হসপিটালে দম্পতিকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷ কারোনা সংক্রান্ত বেশ কিছু বিধিনিষেধ ছিল৷ ভর্তির কয়েকদিন পর শিশুটির বাবা মা জানতে চায়, তাদের একমাত্র সন্তান কেমন আছে? কিন্তু আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেনি। এর পর ২৫ জুন হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়, শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷
চন্দননগরের ওই দম্পতি তারাতলা থানায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেন। ২৬ জুন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই দম্পতির হাতে একটি পচা দেহ তুলে দেন তারা। কিছুতেই মানতে চাননি, সেটা তাদের সন্তান৷ এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন চন্দননগরের ওই দম্পতি৷ মামলা করার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই মৃত শিশুটির ময়নাতদন্ত পাশাপাশি ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছিল৷ কিন্তু শুক্রবারে শুনানিতে রাজ্য সরকার পক্ষের আইনজীবী তারা জানায়, নিয়ম মেনে তারা ডিএনএ টেস্ট এবং ময়না তদন্ত করেছেন৷ যদিও রাজ্যের এই বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি মামলা চলাকালীন মন্তব্য করেন অন্য কাউকে বাঁচাতেই হাসপাতাল এ ধরনের বক্তব্য রাখছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এইরকম মনোভাব নিও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ পাশাপাশি শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেন, আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে ওই শিশুটির ফের ময়না তদন্ত করতে হবে এবং সেই রিপোর্ট মুখ বন্ধ হাইকোর্টে জমা দিতে হবে৷