বাংলায় চলছে ৩ ধরনের শাসন, রাজনৈতিক ‘দুর্বৃত্তায়নে’ বিস্ফোরণ অমিত শাহ

বাংলায় চলছে ৩ ধরনের শাসন, রাজনৈতিক ‘দুর্বৃত্তায়নে’ বিস্ফোরণ অমিত শাহ

2e8b5319ec1ffdf2e4941e51baf86215

কলকাতা: বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল সরকারকে তুলোধোনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ দিলেন সোনার বাংলা গড়ার ডাক৷ সেই সঙ্গে ‘ভাইপো’ কাঁটায় বিদ্ধ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ 

আরও পড়ুন- বাংলায় ভাইপো, ভোটব্যাঙ্ক ও জনতার জন্য পৃথক আইন চলছে: অমিত শাহ

এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ কংগ্রেসকে  সুযোগ দিয়েছে৷ বারবার বামেদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷ আপনারা দশ বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকেও সুযোগ দিয়েছেন৷ এবার নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টিকে একটা সুযোগ দিন৷ আগামী পাঁচ বছরে আমরা সোনার বাংলা গড়ে তুলব৷ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি৷’’ শাহ বলেন,  আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট৷ আমরা বাংলার বিকাশ চাই৷ আমরা চাই দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত থাকুক৷ কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য হল আগামী দিনে ভাইপোর হাতে বাংলার রাজ্যপাট তুলে দেওয়া৷ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসানো৷ এখন বাংলার মানুষকে ঠিক করতে হবে তাঁরা পরিবারবাদ চান, না বিকাশবাদ৷ 

তাঁর কথায়, ‘‘অনেক আশা নিয়ে বাংলার মানুষ রাজ্যে পরিবর্তন এনেছিল৷ কিন্তু তাঁদের আশা পূরণ হয়নি৷ কুপ্রশাসনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি প্রশাসনের রাজনীতিকরণ ঘটিয়েছেন,  রাজনীতিকে অপরাধীকরণ করেছেন আর দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন৷’’  তোপ দেগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, দক্ষতার সঙ্গে রাজ্যে এই তিনটি বদল ঘটিয়ে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই প্রথম কোনও রাজ্যে একসঙ্গে তিনটি বদল ঘটেছে৷ কোনও একটি দিক হলেই সরকারের পতন নিশ্চিত হয়ে যায়৷ এখানে তিনটিই ঘটে গিয়েছে৷  

আরও পড়ুন- ক্যান্সার এড়াতে বাদ দিলেন স্তন! অ্যাঞ্জেলিনা জোলির পথে হাঁটলেন বাংলার মৌসুমী

শুধু তাই নয় ঘূর্ণিঝড় এবং করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও  সাহায্য করার নামে রাজ্যে দুর্নীতি হয়েছে৷ এখানে তোষণের রাজনীতি চলছে৷ বংলায় তিন ধরনের আইন রয়েছে৷ এক তাঁর ভাইপোর জন্য৷ দুই, নিজের ভোট ব্যাঙ্কের জন্য৷ আর তিন নম্বর হল আম জনতার জন্য৷ দেশের আর কোনও রাজ্যে তিন ধরনের আইন দেখা যায় না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘বয়সে ছোট হলেও অনেক রাজনীতি দেখেছি৷ আপনি গর্ত ভরাট করার চেষ্টা করছেন৷ সেটা করে কোনও লাভ হবে না৷ কারণ, মানুষের ভরসাতেই গর্ত হয়ে গিয়েছে৷’’  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *