মেলেনি সরকারি সম্মান! নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড বুকে সম্মানিত কলকাতা পুলিশের ‘শবর পিতা’

মেলেনি সরকারি সম্মান! নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড বুকে সম্মানিত কলকাতা পুলিশের ‘শবর পিতা’

 

কলকাতা: পিছিয়ে পড়া শবর জাতির কাছে তিনি ত্রাতা৷ নিজের উপার্জনের টাকায় দিয়ে পুরুলিয়ার পুঞ্চা গ্রামে শবর জাতির ছেলেমেয়েদের জন্য গড়ে তুলেছেন ‘পুঞ্চা নবদিশা মডেল স্কুল’৷ তিনি আর কেউ নন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ৪২ বছরের কর্মী অরূপ কুমার মুখোপাধ্যায়৷ যিনি পুঞ্চা গ্রামে ‘শবর পিতা’ নামেই পরিচিত৷ এই বিশাল কর্মকাণ্ডের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি সম্মান না পেলেও অনগ্রসর শবরদের জন্য তাঁর উদ্যোগকে সম্মানিত করেছে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা৷ বিভিন্ন জায়গায় সম্মানিত হয়েছেন তিনি৷ এবার তাঁকে সম্মানিত করল নিউজিল্যান্ডের ‘মার্ভেলাস বুক অফ রেকর্ড’৷ তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হল সার্টিফিকেট৷ 

আরও পড়ুন- ভোটার তালিকা সংশোধনে শেষ সুযোগ! আজ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নির্বাচন কমিশন

যদিও অরূপ বাবুর কথায়, পুরস্কারের লোভে তিনি কাজ করেন না৷ তবে পুরস্কার পেলে মনে জোর বেড়ে যায়৷ কাজ করার ইচ্ছাটাও বেড়ে যায়৷ দারিদ্র, অশিক্ষা, কুসংস্কারের অন্ধকারে পড়ে থাকা পুরুলিয়ার পুঞ্চা গ্রামের শবর শিশুদের জন্য তিনি গড়ে তুলেছেন স্কুল৷ মাত্র ১৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে শুরু হয় স্কুলটি ৷ এখন সংখ্যাটা ১২৫৷ শুধু পড়াশোনা নয় একইসঙ্গে তাদের থাকা, খাওয়ায় ব্যবস্থাও করেছেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- কোন রুটে চলবে কটি লোকাল ট্রেন? পড়ুন বিস্তারিত

ইতিমধ্যে ৬০টির বেশি পুরস্কার পেয়েছেন কলকাতা সাউথ ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল অরূপ মুখার্জি৷ ২০১৬ সালে ২৪ ঘণ্টা অনন্য সম্মান থেকে ২০১৭ সালে ব্যাঙ্গালোর থেকে ২টি সংস্থা ভারতের ‘বেস্ট সোশ্যাল অ্যাওয়ার্ড’ দিয়ে সম্মানিত করে৷ ২০১৮ সালে রাজস্থানের উদয়পুরের থেকে পেয়েছেন ‘টিচার ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ড’৷ তাঁর পুরস্কারের ঝুলিতে আছে ‘টেলিগ্রাফ এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড’৷ গতবছর তাঁকে আরও ৪টি সংস্থা সম্মান জানিয়েছে সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য৷ অরূপ বাবুর মতে, পুরস্কারের লোভে তিনি কাজ করেন না, তবে পুরস্কার পেলে মনে জোর বেড়ে যায়৷ কাজ করার ইচ্ছাটাও বেড়ে যায়৷ দারিদ্র, অশিক্ষা, কুসংস্কারের অন্ধকারে পড়ে থাকা পুরুলিয়ার পুঞ্চা গ্রামের শবর শিশুদের জন্য কনস্টেবল অরূপ বাবু তৈরি করেন ‘পুঞ্চা নবদিশা মডেল স্কুল’৷ মাত্র ১৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে শুরু হয় স্কুলটি ৷ এখন সংখ্যাটা ১২৫৷ শুধু পড়াশোনা নয় একইসঙ্গে তাদের থাকা, খাওয়ায় ব্যবস্থাও করেন তিনি৷ কিন্তু, এই কাজে এখনও কোনও সরকারি সুবিধা তিনি পাননি বলেও জানিয়েছেন ‘শবর পিতা’৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *