আর্থিক প্যাকেজের দাবিতে রাস্তার নামার হুঁশিয়ারি বাস-মিনিবাস সংগঠনগুলির

আর্থিক প্যাকেজের দাবিতে রাস্তার নামার হুঁশিয়ারি বাস-মিনিবাস সংগঠনগুলির

কলকাতা: লকডাউন আর আম্পানমের জোড়া দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহণ ব্যবস্থা৷ মাথা তুলে দাঁড়াতে কেন্দ্রের কাছে আর্থিক মদত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বাস ও মিনিবাস সংগঠনের পক্ষ থেকে৷ এই আর্থিক প্যাকেজের দাবি পূরণ না হলে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিল বাস সংগঠনগুলি৷ 

আরও পড়ুন- পিকে’র পাল্টা অমিত, ২১-এর ধুন্ধুমার ডিজিটাল যুদ্ধে কে ছোটাবেন বিজয় রথ?

এদিন পশ্চিমবঙ্গ বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বোস বলেন, ‘‘বেসরকারি পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৯০ শতাংশ পরেষেবা৷ অথচ লকডাউন আমরা কিচ্ছু পাইনি৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্থিক প্যাকেজ চেয়েছিলাম৷ যা এখনও আমাদের হাতে আসেনি৷ এই অআর্থিক প্যাকেজ না পেলে ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকেই আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হব৷’’ তিনি আরও জানান, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাস-মিনিবাস৷ এখনও গলফগ্রিনে গাছের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে মিনিবাস৷ গাছ ভেঙে গাড়িগুলি দুমড়ে গিয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে আম্পান মোকাবিকায় আর্থিক সাহায্য দিয়েছে৷ কিন্তু পরিবহণ ক্ষেত্রে কোনও সাহায্য মেলেনি৷  পরিবহণ ব্যবস্থাকে উঠে দাঁড়াতে হলে আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে৷  

প্রদীপবাবুর কথায়, আম্পান এবং করোনা আমাদের শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে৷ আমরা কোনও আর্থিক প্যাকেজ না পেলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে বৃহত্তর আন্দোলন৷ পাঁচটি সংগঠন একজোট হয়ে পথে নামবে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা৷ 

আরও পড়ুন- তৃণমূল আর দিদির নয়! নেত্রীর বিরুদ্ধে ‘অনাস্থা’ বিধায়কের

ইতিমধ্যেই রাজ্যে ট্রেন চলতে শুরু করেছে৷ প্রদীপবাবু জানান, ১০ তারিখে রেভিনিউ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক ছিল৷ ওই বৈঠকে জানানো হয়েছিল ১০০ শতাংশ পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে না৷ কারণ বহু বাসের কাগজ ফেল আছে৷ পারমিট রিনুয়ালের ফাইন এবং সিএফ ফাইন প্রতিদিন ৫০ টাকা৷ এই ফাইন মকুব করার দাবি জানানো হয়েছিল৷ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই ফাইন মকুব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আরও বাস রাস্তায় নামতে পারবে৷ 

এছাড়াও ব্যাঙ্কের সুদ মকুব করার দাবি তোলা হয়েছে সংগঠনের তরফে৷ প্রদীপবাবু বলেন, বেসরকারি পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সাড়ে চার লক্ষ মানুষ ও তাঁদের পরিবার৷ তাঁদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ দিতে হবে কেন্দ্রকে৷ আর্থিক প্যাকেজ না পেলে পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে৷ পরিবহণ ব্যবস্থা যাতে ফের উঠে দাঁড়াতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া হোক৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 2 =