সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে কোভিড লিভ থেকে বাদ সরকারি পোষিত স্কুলের শিক্ষকরা, বাড়ছে ক্ষোভ

সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে কোভিড লিভ থেকে বাদ সরকারি পোষিত স্কুলের শিক্ষকরা, বাড়ছে ক্ষোভ

কলকাতা: কোভিড-১৯ সহ মোট পাঁচটি রোগকে অতি সংক্রামক বলে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ সেই মতো এই পাঁচটি রোগের ক্ষেত্রে ১৪ দিনের ছুটি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিল নবান্ন৷ এই বিষয়ে এবার সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল৷ কোয়ারান্টাইন লিভের নিয়মে সরকারি শিক্ষকরা ছুটি পেলেও, বঞ্চিত রাজ্যের সরকার পোষিত ও সরকার অধিগৃহীত স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা৷ ফলে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে শিক্ষক মহলের একাংশে।

আরও পড়ুন- ৭২২৭ শূন্যপদে নিয়োগ পরীক্ষার দিন ঘোষণা PSC-র

 
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এই পাঁচটি রোগের জন্য কোয়ারেন্টাইন লিভ পাবেন শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীরা। সরকার পোষিত স্কুলগুলিতেও অবিলম্বে কোয়ারেন্টাইন লিভের নিয়ম সংশোধন করতে হবে বলেও দাবি উঠেছে৷ শিক্ষক সংগঠন ‘অল পোস্ট গ্র্যা জুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষ থেকে গত জুন মাসেই কোভিড ১৯ ও চিকেন পক্সকে কোয়ারেনটাইন লিভের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে শিক্ষা দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে শিক্ষা দপ্তর ও  শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অন্যান্য যে সব দাবিপত্র পেশ করা হয়েছে সেখানেও এই বিষয়টির উল্লেখ ছিল। কিন্তু সরকারি কর্মচারি না হওয়ায় নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। শুধুমাত্র সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা এই সুবিধা পাবেন। তাহলে বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হলে কী হবে? প্রশ্ন উঠছে শিক্ষক মহলে। কেন বাদ দেওয়া হল এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষককে? সেই প্রশ্নও উঠে এসেছে৷ 

আরও পড়ুন- কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী, প্রতিবাদী SSC প্রার্থীদের উপর পুলিশি হেনস্থা

পৃথকভাবে ম্যাচিং অর্ডার বেরনোর কথা বলা হলেও দপ্তরের দীর্ঘসূত্রীতায় তা কবে বেরবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় শিক্ষক মহল৷ ‘অল পোস্ট গ্র্যােজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’- এর পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, সকল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে সরকারি কর্মচারির মর্যাদা না দিলে এই সমস্যা চলতেই থাকবে।  তাই APGTWA সংগঠন সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে সরাসরি সরকারি প্রতিষ্ঠান রূপে ঘোষণা করার ও সেখানে কর্মরত শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের সরকারি কর্মচারি হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়েছে৷  এ প্রসঙ্গে সংগঠনের সভাপতি রথীন সাঁই বলেন, ‘‘সরকারি কর্মচারিদের জন্য ঘোষিত এই লিভ করোনা পরিস্থিতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও যথাযথ সিদ্ধান্ত। সকল সরকারি পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত এবং মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর জন্য অবিলম্বে এই লিভের নির্দেশিকা প্রকাশ হোক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − two =