আমাকে প্ল্যকার্ড দেখিয়ে লাভ নেই, অস্থায়ী কর্মীদের ভর্ৎসনা মমতার

আমাকে প্ল্যকার্ড দেখিয়ে লাভ নেই, অস্থায়ী কর্মীদের ভর্ৎসনা মমতার

বনগাঁ:  চাকরিতে স্থায়ীকরণের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় প্ল্যাকার্ড হাতে আসা অস্থায়ী কর্মীদের উপর বেজায় চটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রকাশ্য সভাতেই মেজাজ হারালেন তিনি৷ ‘মিটিং নষ্ট’ করার অভিযোগে জোড় ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 

আরও পড়ুন- ‘আমার মতো কেউ কাজ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেব’, চ্যালেঞ্জ মমতার

এদিন বনগাঁয় গোপালনগরের সভার শুরু হতেই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে নিজেদের দাবি দাওয়া জানান অস্থায়ী কর্মীরা৷ তাঁদের এই কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাকে প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে লাভ নেই৷ এটা ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে৷ ইতিমধ্যে আপনাদের ২০ দিনের কর্মদিবস  ৪০ দিন করে দেওয়া হয়েছে। তার থেকে বেশি কিছু দাবি থাকলে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়ে চিঠি দিয়ে  জানান।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সারাক্ষণ শুধু চাই চাই৷ কত আর দেব? দেওয়ারও একটা সীমাবদ্ধতা আছে৷ বলবারও একটা জায়গা আছে৷ কোনও দাবিদাওয়া থাকলে আমার বাড়িতে বা সরকারি দফতরে গিয়ে তা জানান৷ আমি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব৷  রাজনৈতিক সভায় সরকারি কাজ করা যায় না৷ আপনারা আমার সভা নষ্ট করে দিলেন৷’’  

এর পরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র কোনও টাকা দিচ্ছে না৷ ৮৫ হাজার কোটি টাকা পাওয়া রয়েছে৷ কষ্ট করে সরকার চালাতে হয়৷ তার পরেও চাই চাই৷ কেউ কেউ একটু বারাবারি করছে বলেও হুঁশিয়ার করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটলে পুলিশকে খবর দেওয়ার জন্য পথবন্ধু রাখা হয়েছে৷ তাঁরাও বলছে স্থায়ী চাকরি দিতে হবে৷ সব কিছু করা সম্ভব নয়৷ যা হওয়ার নয় তা আমাকে বিক্রি করলেও হবে না৷’’ তাঁর দাবি, সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়ার জন্য কিছু মানুষ প্রতি সভায় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে চলে আসছে৷ কোনও কথা বলার থাকলে দুয়ারে সরকারে গিয়ে লিখিত আকারে তা জানাতে হবে৷ সম্ভব হলে সেই কাজ নিশ্চই হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি আইন মেনে সব কাজ করি৷ আইনের বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করা সম্ভব নয়৷ সরকারেরও কাজ করার একটা সীমাবদ্ধতা আছে৷ কোনটা করা সম্ভব আর কোনটা সম্ভব নয় সেটা বোঝা উচিত৷ কাউকে কাজ দিলেই সে স্থায়ীকরণের দাবি তুলছে৷ প্রতিটি সভাতেই চার-পাঁচজনকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কিছু না কিছু বলবার জন্য৷ এটা বন্ধ করুন৷’’  

আরও পড়ুন- শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

 

মমতা বলেন, যাঁকে বললেই কাজ হয়, তাঁর সভায় প্ল্যাকার্ড হাতে কয়েকজনকে পাঠিয়ে মিটিং নষ্ট করবেন না৷ চিঠি লিখে আপনারা আপনাদের কথা জানাতে পারেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মেদিনীপুরের সভায় দু’ বস্তা চিঠি পড়েছে৷ খাটতে খাটতে মরে যাচ্ছি৷ যেখানে যাচ্ছি সেখানেই চিঠি গুঁজে দিচ্ছে৷ অন্য কেউ এত কাজ করবে না৷ 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − four =