পূর্বস্থলী: দল বদল করেই আক্রমণাত্মক শুভেন্দু অধিকারী৷ পূর্বস্থলীর সভা থেকে ঝাঁঝাল আক্রমণ শানালেন প্রাক্তন দলনেত্রীকে৷ কড়া সমালোচনা করলেন তাঁর কাজের৷ এদিন শুভেন্দু বলেন, নিজের ‘দমে’ মুখ্যমন্ত্রী হননি তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নন্দীগ্রামের ওই শবদেহগুলোর ওপরে দাঁড়িয়ে৷
আরও পড়ুন- শুভেন্দুকে বিঁধতে তৃণমূলের অস্ত্র সুজাতা? পূর্বস্থলীর পাল্টা সভায় প্রধান বক্তা সৌমিত্র জায়া
সমোলাচনার তির ছুড়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এখন কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে৷ ওই কোম্পানির নেত্রীকে বলব, নিজের দম থাকলে ২০০১ সালেই মুখ্যমন্ত্রী হতেন৷ নন্দীগ্রামের শবদেহগুলোর ওপরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। যে কংগ্রেসে ভেঙে তৃণমূল হয়েছিল, সেই কংগ্রেসেরই হাত ধরতে হয়েছিল ২০১১-তে৷ বেকারত্ব ইস্যুতেও তোপ দাগেন তিনি৷ শুভেন্দু বলেন, ‘‘২০১৪ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এসএসসি৷ টেটে দুর্নীতি৷ গোটা বাংলায় প্রায় ২ কোটি বেকার ঘুরে বাড়াচ্ছে। সাড়ে ৯ বছর পরে যমের দুয়ারে সরকার।’’ তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের বছরে যে ৬ হাজার টাকা দেয়, সেই টাকা পেতে হলে বদল চাই৷ আয়ুষ্মান ভারত পেতে হলে বিজেপি’কে চাই৷ যত দরখাস্ত জমা দিন স্বাস্থ্যসাথীর টাকা পাবেন না৷
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি’তে যোগ দেওয়ার পর অনেকেই তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলতে শুরু করেছেন৷ এর মোক্ষম জবাব দিয়ে নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, ‘‘আমি দল ত্যাগ করেছি৷ নৈতিকতা বিসর্জন দিইনি৷ সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছি৷ কোনও রাজনৈতিক দল আমাকে সদস্য পদ দিলে আমি তা নিতেই পারি৷ এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার৷’’
আরও পড়ুন- মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির রাজীব-সহ ৪ মন্ত্রী, বাড়ছে জল্পনা!
এর পরেই আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘গত তিন দিন ধরে আমাকে বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর বলা হচ্ছে৷ যাঁরা এ কথা বলছেন তাঁদের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন, ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কারা ছিল? ৯৮ সালের পঞ্চায়েত, ৯৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে কারা ছিল? সেই সময় যদি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানী তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিত, তাহলে ২০০১ সালেই উঠে যেত এই দল৷ এটাকে তারা অস্বীকার করতে পারবে না৷ ’’