শুভেন্দুকে বিঁধতে তৃণমূলের অস্ত্র সুজাতা? পূর্বস্থলীর পাল্টা সভায় প্রধান বক্তা সৌমিত্র জায়া

সুজাতাকে নিরাপত্তা দিয়েছে নবান্ন একই সঙ্গে তিনি আগামী নির্বাচনের টিকিট পেতে পারেন বলেও অনুমান।

 

কলকাতা: দলবদলের পর আজ প্রথম পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সভা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার শোনা যাচ্ছে শুভেন্দুর পাল্টা সভা সেই পূর্বস্থলীতে করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সেই সভার প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন সদ্য বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করা বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁ। এক কথায় মনে করা হচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী কে আক্রমণ করতে তৃণমূল কংগ্রেসের এখন প্রধান অস্ত্র হতে পারেন সুজাতা। আরো জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়া সুজাতাকে নিরাপত্তা দিয়েছে নবান্ন একই সঙ্গে তিনি আগামী নির্বাচনের টিকিট পেতে পারেন বলেও অনুমান।

সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী আজ যে পূর্বস্থলীতে সভা করেছেন সেখানেই আগামী বৃহস্পতিবার সভা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সভার প্রধান বক্তা হিসেবে থাকতে পারেন সুজাতা মন্ডল খাঁ। একই সঙ্গে সেই মঞ্চে থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সহ রাজ্য তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব। যদিও এখনও পর্যন্ত কে কে এই সভায় থাকবেন তা নির্ধারিত হয়নি, তালিকা নির্মাণ চলছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া আক্রমণ করেছিলেন সুজাতা। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, স্বার্থপর এবং সুবিধা লোভী মানুষ একটা দলের খারাপ সময়ে ভেবে দলবদল করেছেন। এই কারণে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রধান মুখ হিসেবে সুজাতা মন্ডলকেই রাখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস অনুমান এমনটাই। আরও জানা গিয়েছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সুজাতাকে বাঁকুড়ার কোন তফসিলি জাতি সংরক্ষিত আসন থেকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। ‌ আপাতত তাকে নবান্ন থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এখন সুজাতা মণ্ডলের তিনজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন জেলা পুলিশের তরফে।

এদিন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছি কিন্তু রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে নৈতিকতা বিসর্জন দিইনি৷  একে একে মন্ত্রিসভা, দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই বিজেপি’তে যোগ দিয়েছি৷ গত তিন দিন ধরে আমাকে বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর বলা হচ্ছে৷ তাঁদের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন, ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কারা ছিল? ৯৮ সালের পঞ্চায়েত, ৯৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে কারা ছিল? সেই সময় যদি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানী তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিত, তাহলে ২০০১ সালেই উঠে যেত এই দল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 12 =