কলকাতা: দল ছাড়তেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠল রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে৷ বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কারসাজির অভিযোগ আনলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে জানালেন তিনি৷
আরও পড়ুন- বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে ধন্দ, বাতিলের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে ঠিকই, কিন্তু নিয়োদ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চলবে৷ গোটা বিষয়টি রিভিউ করে দেখা হবে৷ যাঁরা যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের সকলকে সুযোগ দেওয়া হবে৷ নাম না করেই রাজীবকে খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘আজ বাইরে গিয়ে বড় বড় কথা বলছে৷ কিন্তু বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে কী করে গিয়েছেন, সেই বিষয়ে তাঁকে আগে প্রশ্ন করা হোক৷’’
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘চুরি করে সকলে বিজেপি’তে চলে যাচ্ছে৷ বিজেপি হল ওয়াশিংমেশিনের মতো৷ কালো চোর ওখানে গিয়ে সাদা হয়ে যায়৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যত চোর-গুণ্ডা-ডাকাত সকলকে দলে নিয়ে তৃণমূলকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে৷ কিন্তু তৃণমূলকে কোনও দিনই হারাতে পারবে না বিজেপি৷’’
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন তাঁদের চোখেই তিনি ছিলেন অতি সজ্জন৷ আমরাও সেটা জানি৷ উনি মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্য৷ রাজীববাবু যদি কারচুপি করেই থাকেন তাহলে সৌগতবাবু ও পার্থবাবুকে তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছিল কেন? ওঁকে দলে রাখার জন্য এত চেষ্টা কেন করা হয়েছিল? মুখ্যমন্ত্রী যদি জেনেই থাকেন উনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাহলে তিনি কেন আগে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি? কেন পুলিশে দেননি?
আরও পড়ুন- কেউ কেউ এদিক-ওদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে, ভোটের পরে দেখে নেব! হুঁশিয়ারি মমতার
জয়প্রকাশ মজুমদার আরও বলেন, শাসক দলে থাকলেই চুরি মাফ৷ দলত্যাগ করলেই তদন্ত হবে! যাঁরা সম্মান নিয়ে তৃণমূলে থাকতে পারছেন না তাঁরাই বেরিয়ে যাচ্ছেন৷ আর বেরনোর পরই তাঁদের দুর্নীতিগ্রস্ত, বিশ্বাসঘাতক বলা হচ্ছে৷ এটা মানুষের কাছেও স্পষ্ট৷ সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, আমরা ওয়াশিংমেশিন কিনা সেটা পরের কথা৷ আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দশ দিন আগে যে তৃণমূলে তখন ধোয়া তুলসীপাতা ছিলেন, তিনি দল ছাড়তেই কী ভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হতে গেলেন? এমন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা আর কতজন আছেন সেটাও উনি জানিয়ে দিক৷