পূণ্যবান আমরা, দলে ছিলাম বলে আপনি ক্ষমতায় ছিলেন! মমতাকে কটাক্ষ রাজীবের

পূণ্যবান আমরা, দলে ছিলাম বলে আপনি ক্ষমতায় ছিলেন! মমতাকে কটাক্ষ রাজীবের

তারাপীঠ: কালনায় জনসভা করে বিজেপি সরকারকে এদিন ফের একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ফের বিজেপিকে ওয়াশিং মেশিন বলে কটাক্ষ করেছেন, যারা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের এক হাত নিয়ে কুসন্তান পর্যন্ত বলেছেন। এবার তারাপীঠের জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন নব্য বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, তৃণমূল কংগ্রেস এখন পাপে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে! তারা পুণ্যবান ছিলেন তাই তৃণমূলে ছিলেন, সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় ছিলেন। 

এদিন রাজীব বলেন, বিজেপিকে ওয়াশিং মেশিন বলা হচ্ছে কিন্তু সব থেকে বড় ওয়াশিং মেশিন হল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এখানে খুনের অভিযুক্ত দলে যোগ দিলে তার দোষ মকুব হয়ে যায়। যারা তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেয় তারা সাধু, যারা তৃণমূল ছেড়ে দেয় তারা দোষী, কটাক্ষ রাজীবের। এই প্রেক্ষিতে তিনি মন্তব্য করেন, তারা পুণ্যবান বলেই তৃণমূলে ছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় ছিলেন। এখন তারা বেরিয়ে এসেছেন তাই ২০২১ সালে বাংলায় আর ক্ষমতায় থাকবে না তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। রাজীবের আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য, এই রাজ্যের সরকার গড়বে বিজেপি এবং প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে চাষীদের কিষান সম্মান নিধির টাকা দেওয়া হবে। এদিন তারাপীঠের চিলার মাঠে জনসভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন‘অন্যায় করলে কান মুলে দেব, প্রয়োজন থাপ্পর দেব’, দলকে শৃঙ্খলে বাঁধতে উদ্যত মমতা

প্রসঙ্গত এদিন কালনার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, যারা গেছে তারা ভালই‌ করেছে, দল থেকে পাপ বিদায় হয়েছে। সেই সঙ্গে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদের দলে এরা গেছে, পরবর্তী সময়ে বিজেপি বুঝতে পারবে কি হয়। এই প্রেক্ষিতেই দলবদলুদের উদ্দেশ্য করে মমতার বার্তা, যারা মায়ের দুঃসময়ে পাশে থাকে না, তারা কুসন্তান। মমতা বলেন, দলে থেকে যারা দুর্নীতি করবে তাদের দলে থাকার দরকার নেই। মা ছেলে-মেয়েদের লালন-পালন করে, তারপর মা অসুস্থ হলে তারা ছেড়ে চলে যায়, সেই সন্তানরা কুসন্তান।

আরও পড়ুন:  ‘যারা মায়ের দুঃসময়ে পাশে থাকে না তারা কুসন্তান’, কাকে বললেন মমতা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 14 =