কেশিয়াড়ির বেআইনি বাজি কারখানার ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বিজেপি’র নিশানায় তৃণমূল

কেশিয়াড়ির বেআইনি বাজি কারখানার ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বিজেপি’র নিশানায় তৃণমূল

কলকাতা:  পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ৷ মুহূর্তের মধ্যে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা৷ এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী৷ 

আরও পড়ুন-  ‘রাম কা নাম বদনাম না করো’ গানের লাইন তুলো বিজেপি’কে খোঁচা ফিরহাদের

বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে কারখানার দেওয়ালের একাংশ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের একটি বাড়ি৷ গুরুতর জখম হয়েছেন দু’ জন৷ তাদের খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বিকট শব্দ শোনা যায়৷ সেই শব্দে চমকে ওঠেন আনার গ্রামের বাসিন্দারা৷ স্থানীয় বাসিন্দা পুলিন জানার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণটি ঘটে৷ ওই বাড়ির ভিতের বোমা তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ বিস্ফোরণে বাড়িটিতে আগুন ধরে যায়৷ বিস্ফোরণের পর থেকেই নিখোঁজ বাজি কারখানার মালিক৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র তরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷ 

বিজেপি’র অভিযোগ, ভোটের আগে তৃণমূলের মদতে এই বাড়ির মধ্যে বোমা তৈরি করা হচ্ছিল৷ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির৷ তাঁদের পাল্টা দাবি এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই৷ তবে স্থানীয় এক বিজেপি নেতার কথায়, কেশিয়ারির মানুষ এই বিস্ফোরণের তীব্রতা অনুভব করেছে৷ বিস্ফোরণের জেরে এলাকার ঘর বাড়ি কেঁপে উঠেছিল৷ কেশিয়ারিতে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে৷ এই বোমা তৈরির পিছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে বলেই মনে করছে বিজেপি৷ তাঁদের অভিযোগ এলাকার মানুষদের ভয় দেখানোর জন্য এ কাজ করা হয়েছে৷ এই ঘটনার নিরপক্ষে তদন্তের দাবি করা হয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- লক্ষ্য মমতার হ্যাটট্রিক! এবার গঙ্গাবক্ষে মহাযজ্ঞের আয়োজন করল তৃণমূল

তৃণমূলের দাবি, এর আগে বহুবার পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই বাজি কারখানা নিয়ে অভিযোগ করে হয়েছিল৷ অভিযুক্ত কারখানার মালিক গ্রেফতারও হয়েছে৷ কিন্তু এর পরেই কারখানা বন্ধ করা হয়নি৷ তাঁদের দাবি, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক দলের ইন্ধন নেই৷ 

এদিকে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কারখানার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বারুদ সহ অন্যান্য দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল৷ যার ফলে আরও ভয়াবহ ভাবে গোটা কারখানাটিকে গ্রাস করে নেয় আগুনের লেলিহান শিখা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =