অনুমতি ছাড়াই করা যাবে সিবিআই তল্লাশি! কয়লা কাণ্ডে চাপে রাজ্য

অনুমতি ছাড়াই করা যাবে সিবিআই তল্লাশি! কয়লা কাণ্ডে চাপে রাজ্য

eee3357130ce1ccb0b21ab9b00422c81

কলকাতা: কয়লা কাণ্ডে এবার বড়োসড়ো অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য সরকার। এদিন এই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, পাচার কাণ্ডে তল্লাশি চালাতে গেলে রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন নেই সিবিআইয়ের। আদালত আরো জানিয়েছে, কয়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আজ কয়লা পাচার কান্ডের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এর আগে সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়েছিল, রেল এলাকার বাইরে তদন্ত করতে গেলে রাজ্যের সহযোগিতা নিতে হবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায় সিবিআই। আজ এই প্রেক্ষিতে এই মামলার শুনানি ছিল যা রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।

এদিন আদালতে তরফে জানানো হয়েছে, কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার বিরুদ্ধে বিনা বাধায় তদন্ত চালাতে পারবে সিবিআই। এছাড়া অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ তারিখ। এর আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, তারা হয়তো তদন্ত প্রক্রিয়া শ্লথ করে দিতে চাইছে। যদিও আজকের শুনানিতে রাজ্য সরকারই ধাক্কা খেয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে দুটি মামলা রয়েছে সিবিআর-এর হাতে৷ একটি গরু পাচার ও অপরটি কয়লা পাচার কাণ্ড৷ সিবিআই-এর তদন্তে বাধা দেওয়া হলে তা সমস্যা তৈরি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ প্রয়োজনে তারা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে৷

আরও পড়ুন: লালা মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে CBI, হানা বাঁকুড়ার অবৈধ কয়লা খাদানে

এদিকে সম্প্রতি, বাঁকুড়ার মেজিয়ায় কয়লা তদন্তে নামলে সিবিআই৷ বাঁকুড়ার মেজিয়ার ভুলুই, কালিকাপুরের একাধিক অবৈধ কয়লা খাদানে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ দীর্ঘ দিন ধরেই অবৈধ ভাবে এই সকল খাদানে কাজ চলছিল৷ জানা গিয়েছে, এই এলাকার প্রতিটি খাদানে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে খতিয়ে দেখা হচ্ছে খাদানগুলির গভীরতা৷ প্রশাসনের নাকের ডগায় কে বা কারা দীর্ঘদিন ধরে এই খাদানগুলো চালাত সেই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *