কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি৷ মদন মিত্রের হুমকি ভিডিয়ো ভাইরাল৷ এসএসকেএম-এর অধিকর্তাকে দুর্নীতিবাজ বলে আক্রমণ করলেন মদন মিত্র৷ এমনকী প্যারামেডিক্যালের একদল ছাত্রছাত্রীর সামনেই অধিকর্তার ঘরে ঢুকে আন্দোলনের হুমকি দিলেন তিনি৷ তুললেন দুর্নীতির অভিযোগ৷
আরও পড়ুন- রেলমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর যেমন ছিলাম, তেমনই থাকব: দীনেশ ত্রিবেদী
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ভিডিয়োতে মদন মিত্রকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এমআরআই, সিটি স্ক্যানের জন্য কী ভাবে টাকা খাওয়াতে হচ্ছে৷ একটা রোগী ভর্তি করতে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হচ্ছে৷ আপনি কী করছেন? কেন বসে রয়েছেন ঠাণ্ডা ঘরে? কেন বেরিয়ে রাউন্ড দেন না?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পিজি’র বরাবরের নিয়ম ছিল, যাঁরাই ডিরেক্টর-সুপার হবেন, তাঁরা দিনে চার ঘণ্টা রাউন্ড মারবেন৷ আমরা সেই ধরনের ডাক্তারদেরই দেখেছি৷ উনি আমাদের বসতে দেননি৷ তাই এখানে দাঁড়িয়ে মিটিং করলাম৷ ওঁনাকে বলে দেবেন, মদন মিত্র বলে গিয়েছেন, পরের দিন আপনার ঘরের ভিতরে মিটিং করব৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘কী আছে ডিরেক্টরের কাজ? বসে বসে খালি ভাষণ দেওয়া আর রেশন তোলা৷ জুনিয়র ডাক্তার, গ্রুপ ডি স্টাফ, নার্স তাঁরাই তো বাঁচিয়ে রেখেছে৷ আমি বিরয়ে যাওয়ার পর আপনারা পুরো পিজি হাসপাতাল ঘুরবেন৷ গোটা হাসপাতাল পোস্টারে ছয়লাপ করে দিন৷ দুর্নীতিবাজ ডিরেক্টরের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও৷ অলি গলি মে শোর হ্যায় মণিময় চোর হ্যায়৷’’ এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়৷
আরও পড়ুন- রোজভ্যালি কাণ্ডে এক অভিযুক্তের সাত বছর কারাদণ্ড!
পরে সাফাই দিয়ে মদনবাবু বলেন, ‘‘ওখানে গিয়েছিলাম শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভ্যাক্সিন নিচ্ছিলেন বলে৷ তখনই প্যারামেডিক্যালের একদল ছাত্রছাত্রী আমায় ধরে৷ তাঁরা বিক্ষোভ ঘেরাওয়ের দিকে যাচ্ছিল৷ তাঁরা গেট আটকাচ্ছিল৷ আমিই তাঁদের ডেকে নিয়ে গিয়ে বলি তোমরা এসব পিজি-তে কোরো না৷’’তবে তিনি এটাও বলেন যে, ‘‘এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে পিজি-তে দালাল চক্র সক্রিয়৷ সেখানে এমআরআই-এর তারিখ পেতে তিন থেকে ছ’মাস সময় লাগছে৷ আমি ডিরেক্টরকে আরও সতর্ক হতে বলেছি৷ বলেছি আরও কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করুন৷ আমি বহু দিন ধরেই পিজিতে যাই৷ তবে এই বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনও বিবৃতি দিইনি৷’’