কলকাতা: রোজভ্যালি কাণ্ডে এক অভিযুক্তের সাত বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল নগর দায়রা আদালত। ১২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগের মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। এই মামলায় রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুন্ডু, অরুণ মুখোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
রোজভ্যালি মামলা ইতিমধ্যেই বড় সাফল্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুন্ডু ইতিমধ্যেই জেলে, অন্যদিকে কয়েক সপ্তাহ আগেই তার স্ত্রীকেও আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় গ্রেফতার করেছে তারা। বহু কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তবে গৌতম কুন্ডু ল্যাপটপ এবং মোবাইলের সন্ধান এখনও পর্যন্ত না মেলায় তদন্ত প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে মনে করছে সিবিআই। অনুমান করা হচ্ছে, ল্যাপটপ এবং মোবাইল পাওয়া গেলে আরো বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। তবে এই মামলায় এক অভিযুক্তের সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ অবশ্য ভাবে ইঙ্গিত দেয় যে রোজভ্যালি মামলা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কতটা তৎপরতা দেখাচ্ছে।
কয়লা পাচার মামলা থেকে শুরু করে গরু পাচার, নারদা মামলা থেকে শুরু করে রোজ ভ্যালি, সব মামলাতেই এখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা তুঙ্গে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বরাবর দাবি করে আসছে যে, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন, সেই কারণেই ভোটের আগে এত বেশি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। রাজ্যে নির্বাচন এলেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দের তৎপরতা অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায় বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, মোটামুটি সবকটা মামলার কারণে অস্বস্তিতে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।