‘জয় শ্রীরাম’ ছোটবেলা থেকেই বলে আসছি, আগে মঞ্চে বলার সুযোগ হয়নি: জিতেন্দ্র

‘জয় শ্রীরাম’ ছোটবেলা থেকেই বলে আসছি, আগে মঞ্চে বলার সুযোগ হয়নি: জিতেন্দ্র

ceb2500a327d43b2c914b14c440e2943

 

বৈদ্যবাটি: সমস্ত জল্পনা, বিতর্ক, টানাপড়েনের অবসান ঘটিয়ে আজ অবশেষে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জিতেন্দ্র তেওয়ারি। আর যোগ দিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। বললেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে আসছেন, এতদিন শুধু মঞ্চে দিতে পারতেন না। একই সঙ্গে, তিনি আশাবাদী বাংলায় নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে।

আরও পড়ুন- বিজেপিতে স্বাগত! অধীরকে গেরুয়া শিবিরে ডাক দিলীপের 

এদিন তিনি বলেন, কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চান না কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে মনের কথা বলতে পারছিলেন না। মনে এক কথা থাকতো, বাইরে এক কথা বলতে হত। এমন কিছু কথা থাকত যেগুলো মানুষের সঙ্গে আলোচনা করার থাকতো কিন্তু সেই আলোচনা করার অবকাশ পাওয়া যেত না। জিতেন্দ্রর কথায়, এখন তিনি সুযোগ পেয়েছেন মনের ভাব সম্পূর্ণ ভাবে প্রকাশ করার, সেই জায়গা তাঁকে বিজেপি দিয়েছে তাই জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, তাঁর যে চিন্তা ধারা রয়েছে তার সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি চিন্তাধারার অনেক মিল রয়েছে। উল্লেখ্য, আজ শ্রীরামপুরের সভা থেকে বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি। এদিন এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, নব্য বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ সহ প্রমুখ।

আরও পড়ুন-  অনুব্রতর গড়ে শোভন-বৈশাখী, জোড়া রোড শো শোভন জুটির!

গত বছরের শেষের দিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে ব্যাপক টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। মূলত শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি শিবিরে যোগ দিতে পারেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই সময় তাঁদেরকে এক সঙ্গে বৈঠক করতেও দেখা যায়। যদিও বিজেপি শিবিরের মধ্যে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে দলে নেওয়া নিয়ে বিরোধ শুরু হয় সেই সময়। ফলত, পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে আসার চেষ্টা করেন এবং হালে তাঁকে বড় দায়িত্ব দেয় শাসক শিবির। তবে ফের একবার ‘ডিগবাজি’ মারলেন তিনি। কিছুদিন আগেই আসানসোলের এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মলয় ঘটক সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। তারপরেই এত অল্প দিনের মধ্যেই তিনি পান গুরুদায়িত্ব। জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *