মনোজ তিওয়ার প্রার্থী হতেই উত্তাল শিবপুর, টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ রফিকুল রহমান

মনোজ তিওয়ার প্রার্থী হতেই উত্তাল শিবপুর, টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ রফিকুল রহমান

কলকাতা:  প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভের ঝড়৷ কারও গলায় আবার অভিমানের সুর৷ এবারের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বেশ কিছু ‘পুরনো হেভিওয়েট’ নেতা৷ বদলে উঠে এসেছে তরুণ মুখ৷ তবে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, এবারের নির্বাচনে সবার আগে কোপ পড়েছে সেই সকল বিধায়কদের উপর। সেই জোয়ারে ভেসেই বাদ গিয়েছে হাওড়া শিবপুর কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক জটু লাহিড়ীর নাম৷  

আরও পড়ুন-  মোদীর ব্রিগেডে হাজির থাকতে পারেন বলিউডের খিলাড়ি! তৎপরতা তুঙ্গে

একুশের ভোটে তরুণ প্রজন্মের মুখ হিসাবে উঠে এসেছেন অনেক তারকা প্রার্থী৷ তাঁদের মধ্যে অনতম হলেন ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি৷ তাঁকেই এবার  হাওড়া শিবপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে৷ কিন্তু তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় নেতারা৷ শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র ছেয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতা তথা হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ বিভাস হাজরার সমর্থনে ছাপা পোস্টারে। ওই পোস্টারে ওয়ার্ডের নাগরিকবৃন্দের তরফে লেখা হয়েছে, ‘শিবপুর কেন্দ্রে কাজের মানুষ বিভাস হাজরাকে চাই।’ প্রার্থী ঘোষণার পরও বিভাস হাজরার সমর্থনে এই পোস্টারকে কেন্দ্র করে পারদ চড়ছে হাওড়ায়৷ 

এদিকে নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ আমডাঙ্গার বিধায়ক রফিকুল রহমান৷ তবে তিনি একেবারেই আশাবাদী ছিলেন না৷ রফিকুল রহমান বলেন, ‘‘কী কারণে আমার নাম বাদ দেওয়া হল, সেটা জানানো উচিত ছিল৷ দল আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করল না৷ ২০ বছর ধরে দলের সঙ্গে আছি৷ কী ভাবে আমি দলের সঙ্গে আছি, আমার আচরণ কী তা সকলেরই জানা৷’’

কেন প্রার্থী করা বল না তাঁকে? এর জবাবই খুঁজে পাচ্ছেন না আমডাঙ্গার বিদায়ী বিধায়ক৷ রফিকুল রহমান বলেন, ‘‘টিভিতে দেখলাম ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা, তাঁরা এবার টিকিট পাবেন না৷ কিন্তু এখানে যাঁকে প্রার্থী করা হল তাঁরও বয়স ৮০ বছরের কাছে৷ তিনি বাদুরিয়া কলসুরের বাসিন্দা৷ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী৷ এসেছেন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে৷ আমডাঙ্গার সঙ্গে তাঁর কোন যোগাযোগ নেই। বামফ্রন্টের মন্ত্রী সময় এখানে এলেও আসতে পারে৷ তবে তিনি আমডাঙ্গার ভুগোলটাও জানেন না৷’’ 

আরও পড়ুন- নবান্ন অভিযানে এসে নিখোঁজ হয়েছিলেন, দীপকের খোঁজ মিলল বালিতে

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমডাঙ্গার মানুষ এই প্রার্থীকে মেনে নিতে পারছে না৷ আইপ্যাক এর  রিপোর্ট  আমার পক্ষে ছিল। ষড়যন্ত্র করে আমার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি দিদির অনুগত৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ আমার নাম পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছি৷ আমি মাটির সঙ্গে আছি৷ আমি জানি এই আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত ছিল৷ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হল৷ এই সিদ্ধান্তে কর্মীরাও ক্ষুব্ধ৷’’  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − six =