নন্দীগ্রাম: শুরু হয়ে গিয়েছে একুশের প্রচার যুদ্ধ৷ এবারের ভোটে সকলকে চমক দিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রার্থী হওয়ার পর আজ থেকে নন্দীগ্রামে প্রচার শুরু করলেন তিনি৷ এদিনই ছিল তাঁর প্রথম কর্মীসভা৷ দশ হাজার বুথ কর্মীকে নিয়ে এই সভা করলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ‘ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম’, বার্তা দিলেন ‘দিদি’
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ নন্দীগ্রামের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের এই প্রাক্তন বিধায়ক৷ এদিন তিনি বলেন, ‘‘কেউ কেউ ঘর ভাঙানোর কথা বলবে৷ কিন্তু মানুষে মানুষে ভাগাভাগি নয়৷ ৭০-৩০ নয়, আমরাই ১০০৷’’ তাঁর কথায়, নন্দীগ্রাম আন্দোলন শিখিয়েছিল৷ নন্দীগ্রাম সম্প্রীতি শিখিয়েছিল৷ গুলি-বোমার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে৷ নন্দীগ্রামে নয়৷ নন্দীগ্রামের জন্য দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলাম৷ নন্দীগ্রামের মানুষের কথা তুলে ধরতে চলে গিয়েছিলাম ত্রিবান্দম, চেন্নাই, মুম্বই৷ আর নন্দীগ্রামে কেন দাঁড়ালাম? সেকথাই বলব৷
তিনি বলেন, ‘‘ভবানীপুর আমার নিজের ঘর ছিল৷ ওখানে কিছুই করতে হত না৷ ওখানে তো রোজই যাই৷ শেষ যখন নন্দীগ্রামে এসেছিলাম, এখানে কোনও বিধায়ক ছিল না৷ পদত্যাগ করে চলে গিয়েছিল৷ তখন নন্দীগ্রাম আসনটা খালি ছিল৷ সেই সময় আমি বলেছিলাম, নন্দীগ্রামে যদি আমি দাঁড়াই কেমন হবে? শুনতে চেয়েছিলাম আপনারা কী বলেন৷ আপনারাই বলেছিলেন খুব ভালো হবে৷ আপনাদের সেই সাহস, সেই উদ্দীপনা, আপনাদের সেই ভালোবাসা দেখেছিলাম৷ আমার দু’চোখে নন্দীগ্রাম৷ ‘ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম’৷
আরও পড়ুন- তবে কি রাজনৈতিক সন্ন্যাস? মমতার কাছে ছুটি চাইলেন দেবাংশু
তিনি আরও বলেন, সিঙ্গুরে দীর্ঘ দিন আন্দোলন করেছি৷ সিঙ্গুরের পর নন্দীগ্রাম আন্দোলন শুরু হয়৷ সিঙ্গুর না হলে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের তুফান আসত না৷ সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামকে আমি জুড়ে দিয়েছিলাম৷ এছাড়াও গ্রামের জন্য ভালোবাসা রয়েছে৷ আমি নিজেও গ্রামের মেয়ে৷ শহরে বড় হলেও গ্রামে ফিরে যাই, কারণ সেখানে হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলা রয়েছে৷ এবাক সিঙ্গুর কিংবা নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াব ঠিক করে রেখেছিলাম৷ কারণ দুটোই আন্দোলনের পীঠস্থান৷ ’’