কলকাতা: ক্ষমতায় এলে মানুষের দরবারে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন৷ শুরু হবে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প৷ কিন্তু ‘দুয়ারে রেশন’ নিয়ে এবার রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন৷ জানা গিয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- আহত হওয়ার দিন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কারা ছিলেন? চাওয়া হল তালিকা
সোমবার পুরুলিয়ার জনসভা থেকে ‘দুয়ারে রেশন’-এর প্রতিশ্রুতি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ক্ষমতায় এলে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন৷ ভোটের আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ইস্তেহার প্রকাশ করে থাকে৷ তৃণমূলেও সেই ইস্তেহার প্রকাশ করেছে৷ সেখানে ১০টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে বিনা মূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি৷ রেশন নিয়ে নতুন কোনও প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে কিনা, তা যাচাই করতেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নির্বাচন কমিশন জেলা শাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে৷ ভিডিও ফুটেজ তলব করেছে নির্বাচন কমিশন৷ এই প্রতিশ্রুতি প্রকল্প সূচনার সমান৷ এমনই মনে করছে কমিশন৷ তাই নতুন প্রকল্পের কথা বলছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখবে কমিশন৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভোটে জিতলে দু’মাস পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প৷ তিনি বলেছিলেন, বিনা পয়সায় আমরা খাদ্য দিচ্ছি৷ দুয়ারে সরকার তৈরি করেছিলাম৷ তাদের পরিকল্পনায় ২ মাস পর থেকে কাউকে রেশন দোকানে যেতে হবে না৷ আপনার ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে যাবে৷
আরও পড়ুন- রাজ্যে ভোট হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে, বুথের ১০০ মিটার পর থাকবে রাজ্য পুলিশ
এই প্রকল্প চালু হলে রেশন দোকানের লম্বা লাইন হবে অতীত৷ ঘরে বসেই মিলবে রেশন৷ তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে রয়েছে এই চমক৷ রাজ্য সরকার বিপিএল তালিকাভুক্তদের ২ টাকা কিলো দরে চাল দিয়ে থাকে৷ লকডাউনের পর থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু বারবার রেশন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ বিশেষ করে আম্পানের পর এই দুর্নীতির অভিযোগ আরও জোরাল হয়েছে৷ শাসকদলের গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে রেশন দুর্নীতি৷ বিরোধীরা বারবার রেশনের খাদ্য সামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুলেছে৷ এছাড়াও ভুয়ো কার্ড দেখিয়ে রেশন তোলা, বরাদ্দের তুলনায় কম সামগ্রী দেওয়া বা নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার মতো অভিযোগও বারবার উঠেছে৷ এ নিয়ে বারবার বিক্ষোভ হয়েছে৷ ভোটের মুখে সেই রেশকেই হাতিয়ার করে শাসক শিবির৷ তাই এবার তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি ‘দুরায়ে রেশন’৷