কলকাতা: নির্বাচন কমিশন নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনার দিনে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের তালিকা চেয়েছে। রাজ্যের মুখ্য সচিবকে এ ব্যাপারে আগামী কালের মধ্যে কমিশনকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আগামী পয়লা এপ্রিল রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় বিধানসভা নির্বাচনে যে ৩০টি আসনে ভোট নেওয়া হবে তার জন্য নির্বাচন কমিশন ১৭৪ টি মনোনয়নকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছে। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু আজ কলকাতায় বলেন, গতকাল সব মনোনয়ন পত্রগুলি পরীক্ষা করে দেখার পর পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের একজন এবং বাঁকুড়ার অন্দা কেন্দ্রের আরও একজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। এর আগে আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফার নির্বাচনে মোট ২২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই দফায় মোট এক হাজার ৫৫৩টি মহিলা পরিচালিত বুথ রয়েছে। তৃতীয় দফায় আজ পর্যন্ত ৩৫টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সি ভিজিল অ্যাপ এর মাধ্যমে যে চার হাজার ৫৯২টি অভিযোগ জমা পড়েছে তার মধ্যে তিন হাজার ৪৫৮টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১১৩ কোটি টাকার অবৈধ নগদ অর্থ ও মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এইদিকে রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক অনিল শর্মা আগামীকাল রাজ্যে আসছেন।
আরও পড়ুন- ‘দূষিত পানীয় জল’ খেয়ে কলকাতায় দু’জনের মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক, তদন্তের নির্দেশ ফিরহাদের
আরও জানা গিয়েছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে রাজ্যে মোট ৯৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী আসছে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দফায় ৭৩২, দ্বিতীয় দফায় ৬৯৭, তৃতীয় দফায় ৬৯৫, চতুর্থ দফায় ৮৯৯, পঞ্চম দফায় ৯৫৬, ষষ্ঠ দফায় ৯৩৩, সপ্তম দফায় ৭৫২ এবং অষ্টম দফায় ৭০৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। উল্লেখ্য, রাজ্যে বর্তমানে ৭২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এবারে জেলাশাসক, মহকুমা আধিকারিক, কুইক রেসপন্স টিম ও সেক্টর আধিকারিকদের কাছেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বুথের একশো মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশ রাখা হবে না বলে জানা গিয়েছে।