কলকাতা: বরাবরের শক্ত ঘাঁটি পূর্ব বেহালা থেকে প্রার্থী পদ না পেয়ে বিজেপি ছেড়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও অনুসরণ করেছেন তাঁরই পদাঙ্ক। বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে এই জুটির পদত্যাগে ভোটের আবহে নতুন করে শুরু হয়েছে তোলপাড়। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার পর এবার বিজেপিও ছেড়ে দিলেন, কী হবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ? জল্পনার মাঝেই একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন বহু চর্চিত জুটি শোভন-বৈশাখী।
আরও পড়ুন- “কান্তি গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে জিতেছি, বদলে দল কিছুই দেয়নি!” ঘাসফুল ছেড়ে বিস্ফোরক দেবশ্রী
পূর্ব বেহালার পরিবর্তে এবার পশ্চিম বেহালা থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করার কথা ভেবেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু দলের এই সিদ্ধান্তে একেবারেই সায় ছিল না কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের। তাই এই অনভিপ্রেত সংবাদের পর যখন তিনি জানলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটের টিকিটই দেওয়া হচ্ছে না, তখনই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলেন এক সময় ঘাসফুল শিবিরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতা।
এদিন জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শোভন বাবু বলেন, “ওরা আমায় ফোন করে বলল, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা কোনো সিট দিতে পারছি না। তখনই আমি জানাই পশ্চিম বেহালা থেকে যেন আমার নাম ঘোষণা না করা হয়।” কলকাতা জোনের কো-কনভেনার হিসেবে দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করা সত্ত্বেও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিট না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ব্রাহ্মণ পরিবারকে উচ্ছেদ করে রাতারাতি প্রকল্পের শিলান্যাস তৃণমূল নেতার! হাইকোর্টে পরিবার
বস্তত, গত ১৪ মার্চ তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোটের মোট ৬৩ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিজেপি। তাতে দেখা যায় পূর্ব বেহালা থেকে গেরুয়া টিকিট পেয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার। এর মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে পৃথক ভাবে পদত্যাগ পত্র জমা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পদক্ষেপের পর জুটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ যে এখন বড়সড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। কাঙ্ক্ষিত কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী না করার জন্য এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও।