আগে সিপিএম মারত, এখন বিজেপি মারে! মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

আগে সিপিএম মারত, এখন বিজেপি মারে! মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

44da72658f7bccd30df4404b8fd8985b

গোপীবল্লভপুর: দীর্ঘ বছর ধরে লড়াই করে ২০১১ সালে সিপিএম দলকে পরাজিত করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৪ বছরের বাম শাসনের উৎখাত করার পর ১০ বছর সরকার চালানো হয়ে গেলেও তাদের প্রতি আক্রমণাত্মক মেজাজ এখনো হারাননি মমতা। এদিন জেলা সফরে বেরিয়ে গোপীবল্লভপুর থেকে ভাষণ দিয়ে একদিকে যেমন সিপিএমকে একহাত নিলেন তিনি, ঠিক তেমনই তোপ দাগলেন ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরকে। মন্তব্য করলেন, আগে তাঁকে সিপিএম মারত, আর এখন বিজেপি মারে।

নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশ করার পরবর্তী সময়ে আহত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, ষড়যন্ত্র করে তাঁকে কেউ বা কারা ধাক্কা মেরেছে। স্বাভাবিকভাবেই এরপরে সমস্ত অভিযোগের আঙুল গিয়েছে বিজেপির দিকে। যদিও বিজেপি বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দাবি করা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক করছেন। সহানুভূতি নিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে ভোট আদায় করার চেষ্টা করছেন। তবে ফের একবার জেলা সফরে বেরিয়ে বিজেপিতে আক্রমণ করতে এতোটুকু সময় নষ্ট করছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন গোপীবল্লভপুরের জনসভা থেকে তিনি স্পষ্ট বলেন, বিজেপি নেতারা বাংলায় কখনো কখনো আসেন এবং ফাইভ স্টার হোটেল থেকে খাবার খান। তারা বাংলার ব্যাপারে কিছুই জানে না। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, বিজেপি ঝাড়গ্রামের মানুষদের সমস্যার কথা জানে না। আজ পর্যন্ত যে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সব মিথ্যা। এই প্রসঙ্গে নিজের আহত হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি মন্তব্য করেন, সিপিএম আমলে তাঁকে খুব মারধর করা হয়েছে, আর এখন তাঁকে মারছে বিজেপি।

আরও পড়ুন-  ভিন দেশের পাসপোর্ট বানিয়ে পালানোর ছক কষছিল বিকাশ, সঙ্গে প্রচুর টাকা, দাবি ইডির

মমতা আরো দাবি করেন, ঝাড়গ্রামকে তিনি খুব ভালোবাসেন। ঝাড়গ্রামের জন্য তিনি যতটা পেরেছেন ততটা করেছেন। তিনি আরো জানান, যখন এখানে কেউ আসতে চাইতো না তখন তিনি আসতেন। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর এখানে একটাও খুন হয়নি। এই প্রেক্ষিতেই মমতা জনসভায় আগত সকলকে বার্তা দেন, এখানে জন্য সবাই খগেন মাহাতোকে ভোট দেয় কারণ তাঁকে ভোট দেওয়া মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *