‘পা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে’! বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার

‘পা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে’! বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার

44da72658f7bccd30df4404b8fd8985b

কলাইকুণ্ডা: হুইল চেয়ারে বসে জেলা সফর করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ তাঁর একফোঁটা কমেনি। এদিন কলাইকুণ্ডা জনসভা থেকে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ পর্যন্ত করলেন মমতা। দাবি করলেন, তাঁর পা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে! অবশ্যই তাঁর এই অভিযোগ বিজেপির দিকে। উল্লেখ্য, এদিন গড়বেতা, কেশিয়াড়ি এবং কলাইকুণ্ডা, তিন জায়গায় সভা করেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। 

এদিন মমতা বলেন, ‘আমার পা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আমি না বেরলে বাংলা দখল করে নেবে বিজেপি।’‌ শুধুমাত্র এই জনসভায় নয়, এর আগেও জনসভা করে নিজের আঘাত প্রসঙ্গে বিজেপিকে চরম আক্রমণ করেছেন। তবে, এমন বিস্ফোরক অভিযোগ এই প্রথম। তিনি আরও বলেন, পায়ে তাঁর যন্ত্রণা রয়েছে, কিন্তু তাও তিনি সাধারণ মানুষের জন্য বেরিয়ে পড়েছেন যন্ত্রণা উপেক্ষা করে। এর পাশাপাশি বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান চুরি করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মমতা বলেন, বিজেপি নেতৃত্বে যে ‘পরিবর্তন’ স্লোগান তুলেছে তা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ধার করতে হয়েছে। একইসঙ্গে কিছুদিন আগে কফি হাউসে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে তার প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। তিনি মন্তব্য করেছেন, কিছু বহিরাগত গুন্ডারা কফি হাউস দখল করতে গিয়েছিল। ওরা জানে না কফি হাউজে কারা কারা যায়।

আরও পড়ুন-  পুরুলিয়ায় ‘জলসঙ্কট ভরা জীবন’ দিয়েছে তৃণমূল, ১০ বছরে একটা সেতুও হয়নি, তোপ নমোর

পাশাপাশি আগের জনসভায় মমতা যেমন আওয়াজ তুলেছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে, এবারও সেই একই ভঙ্গিতে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তিনি। বললেন, যদি বিনা পয়সায় রেশন পেতে হয়, স্বাস্থ্যসাথী পেতে হয়, বিধবা ভাতা পেতে হয় তবে একটা ভোটও বিজেপিকে নয়। যদি ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট কার্ড পেতে হয়, মেয়েদের সম্মান পেতে হয়, ৫০০ টাকা প্রতিমাসে পেতে হয় তবে বিজেপিকে একটা ভোটও দেবেন না। এদিকে খড়্গপুরের অনেক মানুষ রেলে কর্মরত সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, বিজেপি সরকার রেল বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছে তাই রেল কর্মীদের অনুরোধ, তারা যেন বিজেপিকে ভোট না দেয়। রেলের পাশাপাশি ব্যাংক গুলোকেও বেচে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সাধারণ মানুষের টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *