‘চাওয়ালা’ মোদীই ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণা, তবে প্রার্থী না হয়ে এখন বেশ খুশি কমল

‘চাওয়ালা’ মোদীই ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণা, তবে প্রার্থী না হয়ে এখন বেশ খুশি কমল

5509511f9b3d2e183a67e15799adaef0

কলকাতা: দেশের সর্বময় কর্তা হয়ে ওঠার পরেও নিজের অতীত জীবনের কথা বারবার উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ছোটবেলায় রেল স্টেশনে চা বিক্রি করে সংসার চালানোর কথাও স্বীকার করেছেন অকপটে৷ আর তাঁর এই স্বীকারোক্তি নীরবে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে গিয়েছে রায়গঞ্জ জেলা বিজেপি পার্টি অফিসের কেয়ারটেকার তথা বিজেপি কর্মী কমল রাজবংশীকে৷ একটা কথা তাঁকে বারবার ভাবিয়েছে, সমাজের প্রান্তিক স্তর থেকে উঠে এসে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে পারলে, তিনি পারবেন না কেন? 

আরও পড়ুন-  বিজেপিতে ‘গুপ্তচর’ পাঠিয়েছেন পিকে! তৃণমূলের ‘গেমপ্ল্যানের’ পর্দাফাঁস কান্তির

কমলের দু’চোখেও ভিড় করতে থাকে বড় হওয়ার স্বপ্ন৷ রাজনীতির আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে ওঠার জেদ৷ মানুষের সেবা করার প্রবল ইচ্ছা৷ দলের এক নেতার পরামর্শেই নাকি বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার পক্ষে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি৷ অনলাইনে আবেদনও করেছিলেন৷ কিন্তু সেই আর্জি নাকোচ হয়ে গিয়েছে৷ কমল জানান, পার্টি অফিসের সঙ্গে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে যুক্ত আছেন তিনি৷ এখন জেলা পার্টি অফিসের ইনচার্জ হয়েছেন। ফাইফরমাশও খাটেন৷ নেতাদের চা খাওয়ানো, বসতে দেওয়া সবই তাঁর দায়িত্বে৷ জেলায় বিজেপি-র রাজনৈতিক কর্মপ্রণালীতে কতটা সামনের সারিতে রয়েছেন কমল, তা জানা যায়নি৷ তবে আড়ালে থেকেও নিজেকে জনপ্রতিনিধি হিসাবে দেখার স্বপ্নকে সাজিয়ে গিয়েছেন সযত্নে৷ ভেবেছিলেন মানুষের সেবা করতে পারবেন৷ কিন্তু সেই স্বপ্ন আপাতত অধরা৷ উল্টে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দলের অন্দরে ক্ষোভের হাওয়া বইছে, তা দেখে সাবধানী কমল৷ তাঁর কথায়, প্রার্থী নিয়ে যে অবস্থা দেখছি, তাতে প্রার্থী না হওয়াই ভালো৷ আপাতত প্রার্থী হওয়ার কোনও ইচ্ছাই নেই তাঁর৷ শুধু দলের হয়ে কাজ করে যেতে চান এই কর্মী৷ 

আরও পড়ুন- বোমা বিস্ফোরণে শিশু মৃত্যু, ভোটের মুখে তোলপাড় বাংলা! শুরু রাজনৈতিক তরজা

প্রসঙ্গত, প্রার্থী নিয়ে সবচেয়ে বেশি হিংসা ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরে৷ অধিকাংশ প্রার্থী নিয়েই ক্ষোভ রয়েছে দলীয় কর্মীদের মধ্যে৷ রায়গঞ্জ পার্টি অফিসেও ভাঙচুর হয়েছে৷ এই কেন্দ্র থেকে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ির প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল সবচেয়ে বেশি৷ কিন্তু তাঁকে টিকিট দেয়নি দল৷ সম্প্রতি এই বিশ্বজিৎ লাহিড়ির সঙ্গেই করণদিঘির এক নেতা তপেসচন্দ্র সিনহার টেলিফোনিক কথোপকথনের রেকর্ড ভাইরাল হয়ে যায়৷ যেখানে তপেসবাবু বিশ্বজিৎবাবুকে আত্মহত্যার হুমকি দেন৷ এই সব দেখার পর প্রার্থী না হয়ে বেশ খুশি কমল৷ প্রথমে ভেঙে পড়লেও, এখন আর কোনও খেদ নেই তাঁর৷      

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *